কমলা হ্যারিসের একসময় শিক্ষার্থী হিসেবে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পদচারণা ছিল। নির্বাচনের রাতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হলো কই! মার্কিন ভোটাররা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার মেনে নিয়েছেন কমলা হ্যারিসও।
তবে হারের পর এখন কমলা হ্যারিসের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই প্রশ্ন অনেকের। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২০শে জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্সের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ অবধি কমালা হ্যারিস ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে তার কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স শপথ নেওয়ার পর জো বাইডেন ও কমালা হ্যারিসের আর কোনও রাজনৈতিক পদ থাকবে না।
যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যবস্থার মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিরোধী দলের নেতা’ নামক কোনো পদ নেই।
তাই, প্রায় আড়াই মাস বাদে কমলা হ্যারিসের কোনো কাজ থাকবে না। তবে এটাও নিশ্চিত যে এরপর তার কাজের প্রস্তাবের অভাব হবে না।
এদিকে নির্বাচনে হেরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে একটি আবেগঘন ভাষণ দেন কমালা হ্যারিস। যেখানে তিনি নিজেও পড়াশোনা করেছেন।
ভাষণে উপস্থিত জনতাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। পরবর্তীতে তার সমর্থকদের উদ্দেশে এই কথাটি তিনি ইমেইলের মাধ্যমেও বলেছেন। তার নির্বাচনি ক্যাম্পেইন ইমেইলে তিনি সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
কমলা স্বীকার করেন, নির্বাচনের ফলাফল ‘আমরা যা চেয়েছিলাম তা নয়,’ তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন, ততক্ষণ ‘আমেরিকা কখনও মলিন হবে না। তিনি আরো বলেন, ‘এখন একে অপরের হাত ছেড়ে দেওয়ার সময় না, বরং ধৈর্য ধরার সময়।
’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন