লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ : দায় স্বীকার নেতানিয়াহুর

সেপ্টেম্বরে লেবানন ও সিরিয়ায় মারাত্মক পেজার হামলার জন্য সবুজসংকেত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইসরায়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  

গত সেপ্টেম্বরে লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে ৪০ জন ‍নিহত ও তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। ওই ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করে হিজবুল্লাহ ও ইরান। বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হলেও নেতানিয়াহু সরকার এর সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করা থেকে বিরত ছিল।

দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল তাদের যুদ্ধ শুরুর কয়েক দিন আগে এ ঘটনা ঘটেছিল। 

 

হিজবুল্লাহ পেজার বিস্ফোরণকে ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতের প্রায় এক বছরের মধ্যে ‘সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

নেতানিয়াহু গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছেন, তিনি লেবাননে পেজার অপারেশনের জন্য সবুজসংকেত দিয়েছিলেন। তার মুখপাত্র ওমের দস্তরি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গতকাল রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় বলেছিলেন, ‘প্রতিরক্ষা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরোধিতা এবং রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের বিরোধিতা সত্ত্বেও পেজার অপারেশন এবং নাসরাল্লাহকে নির্মূল করা হয়েছিল।’ হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন।

 

নেতানিয়াহুর বিবৃতিটি স্পষ্টতই ইয়োভ গ্যালান্টের প্রতি উপহাস ছিল। আস্থার অভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর।

 

 


 

লেবাননের শ্রমমন্ত্রী তার দেশে পেজার বিস্ফোরণের জন্য জাতিসংঘের শ্রম সংস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর কয়েক দিন পরেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই নিশ্চিতকরণটি এলো।

শ্রমমন্ত্রী মোস্তফা বায়রাম জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করতে তিনি জেনেভা গিয়েছিলেন। বায়রাম বলেন, ‘পেজার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি। এই হামলায় কয়েক মিনিটের মধ্যে চার হাজারের বেশি বেসামরিক শহীদ এবং আহত বা পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল।

 

তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধ এবং সংঘাতের এই পদ্ধতিটি অনেকের জন্য পথ খুলে দিতে পারে, যারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এড়িয়ে যুদ্ধের এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘অভিযোগের পরিণতি কী হবে জানি না। অন্তত আমরা এই বিপজ্জনক পদ্ধতির বিরুদ্ধে কথা বলার এবং সতর্ক করার জন্য আমাদের আওয়াজ তুলেছি। এ ধরনের বিপজ্জনক পদ্ধতি মানব সম্পর্কের ওপর আঘাত এবং সংঘাতের দিকে নিয়ে যায়।’

 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন