জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছিলেন, জানুয়ারিতে আস্থাভোট নেবেন। এখন জানালেন, ডিসেম্বরেই তিনি আস্থাভোটে রাজি। বড়দিনের আগেই আস্থাভোটে রাজি আছেন বলে রবিবার জানান তিনি।
জার্মানির সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোলজ বলেছেন, ‘যদি সবাই একমত হন, তাহলে বড়দিনের আগে আস্থাভোট নিতে আমার কোনো অসুবিধা নেই।
আমি ক্ষমতায় সেঁটে বসে থাকতে চাই না।’
গত সপ্তাহে শোলজের নেতৃত্বাধীন তিন দলের ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে গেছে। অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেছেন চ্যান্সেলর শোলজ। এখন নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে আস্থাভোট নেওয়াটা জরুরি।
ওলাফ শোলজ প্রথমে জানিয়েছিলেন, তিনি ১৫ জানুয়ারি আস্থাভোট নেবেন। কিন্তু তারপর প্রবল চাপের মুখে পড়ে তিনি আস্থাভোট এগিয়ে আনতে সম্মত হয়েছেন।
শোলজের বক্তব্য
ওলাফ শোলজ জানিয়েছেন, তিনি এই জোট ভাঙার জন্য দায়ী নন। তিনি কোনো রকম উসকানি দেননি।
বরং তিনি শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন, যাতে এসপিডি, গ্রিন ও এফডিপির জোট অটুট থাকে।
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি সহযোগিতা ও সমঝোতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু সময় খুবই খারাপ ধরনের খেলা হয়েছে। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেছে।’
সরকারের আর্থিকনীতি নিয়ে জোটের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে।
তার পরিণতিতে লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন শোলজ। এর ফলে জোটে তার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি থেকে যায়।
শোলজের ব্যাখ্যা
তিনি বলেছেন, ‘সরকার যে এত দিন ধরে টিকেছিল, তার পেছনে আমার সহযোগিতা ও সমঝোতা দায়ী। না হলে তা এত দিন টিকে থাকা দূরে থাক, জোটই হতো না।’
জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করাটা স্পষ্ট ও নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত। এর ফলে আস্থাভোটের পথ প্রশস্ত হয়েছে। ২০২৫ সালে নির্বাচনও হয়ে যাবে।
আস্থাভোটে শোলজ সম্ভবত হারবেন। তখন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ২১ দিনের মধ্যে বুন্দেসটাগ (জার্মান ফেডারেল পার্লামেন্ট) ভেঙে দেবেন। তার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন