মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেন বুধবার ইসরায়েলকে গাজা যুদ্ধে ‘বাস্তব ও দীর্ঘকালীন বিরতি’ কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়। সেখানে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সময়সীমা শেষ হওয়ার তিনি এ আহ্বান জানালেন।
ব্লিনকেন এদিন জানান, নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ইসরায়েল মানবিক সংকট মোকাবেলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে আরো পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের গাজার বিশাল এলাকায় যেকোনো লড়াই বা যুদ্ধে প্রকৃত ও দীর্ঘকালীন বিরতি প্রয়োজন, যাতে অভাবী মানুষের কাছে কার্যকরভাবে সহায়তা পৌঁছতে পারে।
’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েল গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা শুরু করায় অঞ্চলটি মারাত্মক মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। গত মাসে ব্লিনকেন ও মার্কিন প্রতিরক্ষাপ্রধান লয়েড অস্টিন ইসরায়েলকে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। অন্যথায় সামরিক সহায়তা হ্রাস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়।
ব্লিনকেন বুধবার বলেন, এটি মূলত জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে তাগিদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল। ইসরায়েল ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ১৫টি সুপারিশের মধ্যে ১২টি বাস্তবায়ন করেছে। তবে এখনো ‘তিনটি বড় বিষয়’ সমাধান করা বাকি রয়েছে। দীর্ঘকালীন বিরতি কার্যকর করা তাদের মধ্যে একটি।
অন্য দুটি ছিল ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং ইসরায়েলি অভিযান শেষ হলে মানুষ যাতে সেই এলাকায় ফিরে যেতে পারে, সেই মর্মে স্থানান্তর আদেশ বাতিল করা।
ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর সময় এখন, কিন্তু এই মানবিক পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় এক হাজার ২০৬ জন নিহত হয়েছে, যার বেশির ভাগই বেসামরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৬৬৫ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘ এ সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য করেছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন