জি২০-এর বিবৃতিকে স্বাগত জানাল কপ২৯

বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী মোট কার্বন নির্গমনের তিন-চতুর্থাংশ করে জি২০ দেশগুলো। তাই জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে তাদের মতের দিকে তাকিয়ে ছিল আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে কপ২৯-এ অংশ নেওয়া কর্তৃপক্ষগুলো। এই অবস্থায় সোমবার রাতে একটি বিবৃতি ইস্যু করেন জি২০ দেশগুলোর নেতারা। একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে তারা এখন ব্রাজিলে রয়েছেন।

ওই সম্মেলনের প্রথম দিন ছিল সোমবার। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন। এরপর রাতে প্রকাশ করা বিবৃতিতে জি২০ নেতারা বলেন, তারা বাকুর সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর বিষয়টি সমর্থন করছেন।

 

এবারের জলবায়ু সম্মেলনের অন্যতম মূল লক্ষ্য, জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো।

বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, ধনী দেশগুলো বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো চায়, এই অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ানো হোক। তবে সপ্তাহখানেক ধরে চলা জলবায়ু সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন। শুক্রবার সম্মেলনটি শেষ হওয়ার কথা।

 

এদিকে জি২০ নেতাদের বিবৃতিতে অর্থায়ন বিষয়ে ‘ইতিবাচক সংকেত‘’ পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন গ্রিনপিসের কর্মী জেস্পার ইনভেনটর। তবে সম্মেলনের বাকি দিনগুলোতে এই ইতিবাচক সংকেতকে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে পরিণত করতে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। 

অন্যদিকে জি২০-এর বিবৃতিতে জলবায়ু অর্থায়ন ‘সব সূত্র’ থেকে আসতে হবে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতে খুশি নন ‘জি৭৭+চীন’ গ্রুপের চেয়ারম্যান আডোনিয়া আয়েবারে। তিনি বলেন, গরিব দেশগুলো অনুদান চায়, ঋণ নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর গোষ্ঠী হচ্ছে জি৭৭+চীন।

 

জি২০ সম্মেলনে আর যা নিয়ে আলোচনা হলো
জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও ইউক্রেন, গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ ‘থামাতে’ সহায়তা করতে জি২০-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন ও ব্রাজিল। এই দেশ দুটি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে।

গাজা ও লেবাননে ‘সর্বাঙ্গীণ’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জি২০ নেতারা। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা। ওই প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন জি২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। তার এই উদ্যোগে ৮২টি দেশ যুক্ত হয়েছে। জি২০-এর দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, ভারত, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন