মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে তার দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। আজ ২০ নভেম্বর সম্ভাব্য বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর এই ঘোষণা করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স এক্স-এর একটি পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস ২০ নভেম্বর (বুধবার) সম্ভাব্য বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে।
নিরাপত্তামূলক সতর্কতার কারণে দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। দূতাবাসের কর্মচারীদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে তাতে আরো বলা হয়েছে, ‘বিমান সতর্কতা জারি করা হলে, অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
এ ছাড়া নতুন তথ্যের জন্য এলাকার নাগরিকদের স্থানীয় মিডিয়ায় চোখ রাখার আহবান জানানো হয়েছে।
নিরাপদ আশ্রয়ের স্থানগুলো চিহ্নিত করা, বিমান সতর্কতা ঘোষণা করা হলে অবিলম্বে আশ্রয় নেওয়া এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করার কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ায় মার্কিন তৈরি রকেট দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এদিকে মস্কো গতকাল বলেছে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ছয়টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পরে এই সতর্কতা এলো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটির ধ্বংসাবশেষ থেকে সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গতকাল এক হাজার দিন পূর্ণ করেছে।
রাশিয়া কয়েক মাস ধরে পশ্চিমাদের সতর্ক করে আসছিল, ওয়াশিংটন যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভিতরে মার্কিন, ব্রিটিশ এবং ফরাসিদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার অনুমতি দেয়, তবে মস্কো সেই ন্যাটো সদস্যদের ইউক্রেনের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত বলে বিবেচনা করবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অক্টোবরে বলেছিলেন, মস্কো রাশিয়ার ভিতরে মার্কিন তৈরি অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলার জবাব দেবে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন