নবীগঞ্জে দীর্ঘ ১৭ বছরের দাপটে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ও সন্তোষ পুলিশ হেফাজতে! জনমনে স্বস্থির নিঃশ্বাস

নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- নবীগঞ্জে রাজনৈতিক সাংবাদিকতা ও ব্যবসায়ী অঙ্গনকে বিভক্ত করে ফায়দা হাসিল করে দীর্ঘ ১৭ বছর একক রাজত্ত্ব কায়েম করে অবশেষে বৈষম্য বিরুদ্ধী আন্দোলনে সৈরাচার হাসিনার সরকারের পতনের পর গতকাল সন্ধা রাতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ নবীগঞ্জ শহর থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলিগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী সহ আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলার সন্তুস দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত (১৪ সেপ্টেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় জামায়াত নেতা শাহ আলাউদ্দিন একটি জি,আর ১৪৯ নং মামলা করেন। ঐ মামলার ধারা:- ১৪৩, ১৪৪, ১১৪, ৩৩২, ৩৩৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৮০, ১৩৫, ৪২৭, ৫০৬, ৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক স্থান থেকে সন্ধা রাত অনুমান ৭টা ১৫ মিনিটের সময় নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে থানার এসআই মো: সুমন মিয়া, এসআই পিষুষ দেবনাথ, এএসআই জামাল হোসেন সরকার সহ একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ শহরের মধ্যে বাজার থেকে ঐ মামলার ২জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ গ্রেফতারকৃতরা হলো, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চরগাও গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন চৌধুরীর পুত্র সাইফুল জাহান চৌধুরী (৪৭) ও নবীগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি,  পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার ও শিবপাশা গ্রামের মনিন্ড কুমার দাশের পুত্র সন্তোষ দাশ (৫৯)। তাদের গ্রেফতারের খবরে দেশ- বিদেশে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।

খুজ নিয়ে সাইফুল জাহান বিরুদ্ধে আরো জানাযায়, সৈরাচারী আওয়ালীগ সরকারের আমলে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে উপজেলার সর্বত্র ত্রাশের রাজত্ব কায়েম রাতারাতি কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জ করে। তার এহেন অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মামলা মোকদ্দমা সহ মানুষিক ও শারিরিক নির্যাতন করতেও পিছ পা হতো না। সাইফুল জাহান ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপের অপকর্মের শিকার হয়ে রাজনৈতিক ব্যাক্তিবগ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সমাজ ভয়ে আতংকগস্ত থাকতো। প্রশাসনের প্রতিটি স্থরে তার আগ্বাবহ সন্ত্রাসীদের বসিয়ে রেখে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অহরহ অভিযোগ রয়েছে। সিএনজি চালকদের সংগঠনের নামে তার লোকজন ম্যানাজারির দায়িত্বে বসিয়ে দৈনিক চাঁদা আদায়ের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবকে তার স্বার্থশীদ্ধির একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করে রেখেছে। তার নির্দেশে গত কয়েক বছরে প্রেসক্লাবে প্রহসনের নির্বাচন দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল জাহান চৌধুরী তার মনোনিত সাংবাদিক এমনকি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নামধারী গুটি কয়েক সাংবাদিক তার সত্তছায়ায় থেকে প্রেসক্লাবের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে নবীগঞ্জ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এমন কি জন সাধারনের নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায় করে নিজেদের লোকজনের মধ্যে ভাগভাটুয়ারা করে দীর্ঘদিন যাবৎ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপি নামধারী কতৃক সাংবাদিককে পদ পদবীর লোভ দেখিয়ে তার নিজের স্বার্থে বিভিন্ন কৌশলে ব্যবহার করে আসছে। বৈষম্য বিরুদ্ধি আন্দোলনের ফলে সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা পেলেও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সহ থানা ও উপজেলা প্রশাসনে তার লোকজন এখনও প্রভাব খাটিয়ে তাদের নিজেদের পকেটে রেখেছে। আগামী বছরগুলিতেও বিভিন্ন দলের নামধারী সাইফুল জাহানের আঙ্গাবহ সাংবাদিকদের প্রেসক্লাব তার নেতৃত্বে আনার জন্য কৌশলে কাজ কর আসছিল। যাতে করে আগামীতেও তার মনোনিত লোকজন নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থারে/অফিসে এবং থানায় সাইফুলের পক্ষে কাজ যেতে পারে।
আওয়ামী লীগ নেতা সন্ত্রাসী সাইফুল জাহান গ্রেফতারের খবরে নবীগঞ্জের সুশিল সমাজ, নির্যাতিত ব্যবসায়ী সহ সাংবাদিক সমাজের মধ্যে আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।

তার নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি দৈনিক বিবিয়ানার সম্পাদক, মানবজমিনের সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অন লাইন মিডিয়ায় সাংবাদিক
সুশিল সমাজ সহ ব্যবসায়ীবৃন্দ।
নবীগঞ্জে দীর্ঘ ১৭ বছরের দাপটের পর অবশেষে আওয়ামীলীগ নেতা সন্ত্রাসী সাইফুল জাহান এখন পুলিশ হেফাজতে! তার নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি দৈনিক বিবিয়ানার সম্পাদক, মানবজমিনের সাংবাদিক, সুশিল সমাজ সহ ব্যবসায়ীবৃন্দ

এ ব্যাপারে ওসি কামাল হোসেন গ্রেফতারের ঘটনা সত্যতা শিকার করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন