বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- প্রেম মানে না জাত ধর্ম, মানে না কারো কোন বাঁধা। বর্তমানের প্রেম-প্রিরিতি কাউকে নিচ্ছে নর্গে আর কাউকে নিচ্ছে স্বর্গে। আর কেউ কেউ জেলের ভাত খাচ্ছেন। এমন ঘটনা অহরহ ঘটতেই চলছে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা মতে, অভিবাসীদের অসচেতনতার কারনেই ঘটছে এমন ঘটনা।
আত্মীয়তার সুবাদে এমনই এক ঘটনার জন্ম নিচ্ছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলাে ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের বানিপাতা গ্রামের অনকুল সরকারের পুত্র হৃদয় সরকার (২২) ও একই উপজেলার ৭নং করগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের শৈলেন সরকারের কন্যা সুমী রাণী সরকার (১৯)।
সূত্রে জানাযায়, হৃদয় ও সুমী তারা একে অপরকে প্রায় ৪ বছর ধরে ভালবাসেন। বিভিন্ন সময় স্বামী- স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে অনেক জায়গায় বেড়াতেও গিয়েছেন। কিন্তু প্রেমিক প্রবাসে থাকার সুবাদে থাকে না জানিয়ে সুমী'র পরিবারের লোকজন তাকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিতেছেন। এ সংবাদ প্রবাসী প্রেমিক হৃদয় পাওয়া মাত্রই সু-দুর প্রবাস (দুবাই) থেকে দেশে আসতেছে।
আত্মীয়তার সুবাদে হৃদয় সরকার ও সুমী রাণী সরকারের মধ্যে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক সহ গোপন অবিসার চলে আসছিল।
সম্প্রতি, প্রেমিক হৃদয়কে তার বাবা- মা অন্য জায়গায় বিয়ে করাতে চাইলে প্রেমিকা সুমী রাণী সরকার অনশনের হুমকি দেয়। এতে বর পক্ষের লোকজন এমন খবর পাওয়ায় ঐ বিয়ে আর হয়নি। এর কিছু দিনপর প্রেমিক হৃদয় দুবাই চলে যায়।
সেখানে থাকার পর হঠ্যাৎ সে জানতে পারে তার প্রেমিকা সুমী'র বিয়ে আগামী সোমবারে। এবং বিয়ে হবে একই উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বড় শাকোয়া গ্রামের গোপাল সরকারের পুত্র বিশ্বজিত সরকারের সাথে। এসব খবর পেয়ে প্রবাসী প্রেমিক হৃদয়ের আকাশ যে মাথায় ভেঙ্গে পড়ে। এবং কোন রকম নিজেকে সে শান্ত রেখে সিন্ধান্ত নেয় যে,
যদি তার মনের মানুষকে অক্ষত অবস্থায় পেতে হয় তাহলে সে দুবাই থেকে এই বিয়ের আগেই দেশে আসতে হবে।
এ ব্যাপারে দুবাই থেকে প্রেমিক হৃদয় মোবাইল ফোনে জানায়, সুমীকে যদু অন্য কেউ বিয়ে করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো।
গোপন সূত্রে তাদের এই প্রেমলিলার আরো অনেক তথ্য পাওয়া গেছে যে, তাদের দুজনের সম্পর্ক চলাকালি সময়ে দুজন এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে গিয়ে হোটেল রেস্তোরাঁয় খাবার ধাবার সহ নানান জায়গায় আড্ডাকালে তাদের মোবাইল ফোনে ধারনকৃত নানান অঙ্গভঙ্গির ছবি ও ভিডিও রয়েছে। এমন কি গোপন অভিসারের পর আনন্দ আত্মহারা হয়ে সুমি নিজেকে অনেক সুখি মনে করে তার হাতের তিন আঙ্গুল উচিয়ে বিজয় চিহৃ দেখিয়ে সুমি ছবি তুলার পর তার প্রেমিকার সাথে বিয়ে বসবে বলে পুরপুরি আশ্বাস দিয়ে বলে, আমার জীবন থাকতেও তুমাকে ছাড়া অন্য কাউকে আমি বিয়ে করতে পারবনা। তুমার মাঝে আমি আমার আসল জিনিস পেয়ে গেছি, জীবন চলে গেলও, আমি তুমারই আছি এবং থাকবো। এসব ঘটনা এখন দুজনের মনের মধ্যে কেবল স্মৃতি হয়ে বেসে ওঠছে।
এমনকি তাদের প্রেম সম্পর্ক চলাকালি সময়ে
নানান অভিসারের অষ্টিল ছবি ও ভিডিও তাদের মোবাইলের ইমু ও ওয়ারসাপে এখন আছে। এমনকি তাদের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনের গ্যালারিতেও রয়েছে বলে জানাযায়।
এ ব্যাপারে প্রবাসী প্রেমিক হৃদয় জানায়, যদি সুমী'র অন্য কোন জায়গায় যদি বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমি আমার জীবনের মায়া ত্যাগ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো।
এ ব্যাপারে প্রেমিকা সুমী রাণী সরকারের পিতা শৈলেন সরকারের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। হৃদয় ও সুমি'র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক চলে আসছিল তা আশপাশ এলাকার লোকজন জানতেন। কিন্তু তাদের এই দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ভাঙ্গনের খবর তাদের নিজ গ্রাম বানিপাতা ও লক্ষীপুরে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনার পাশাপাশি নানান সমালোচনা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন