প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা একই রোল নিয়ে পরের ক্লাসে

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের নিজ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করবেন। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হবে। যার যে রোল নম্বর আছে, সেই রোল নম্বর নিয়েই পরের শ্রেণিতে উঠবে।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) এক চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

 

চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসের ক্লাস ও করোনাভাইরাস মহামারীর সময় যেসব শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ১৬ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। সেই সময় তাদের ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়েছে, শিক্ষকরা পড়িয়েছেন, এখন সেসব মূল্যায়নে আনা হবে।

করোনাভাইরাস মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মধ্যে সংসদ টেলিভিশন, বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং জুম প্ল্যাটফর্মে যেসব শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোও মূল্যায়ন করা হবে।

এছাড়া ছুটির মধ্যেও অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়া দিয়ে পড়া আদায় করেছেন জানিয়ে মনসুরুল আলম বলেন, সেসবও তারা মূল্যায়নে আনবেন।

এর বাইরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, যার তথ্য-উপাত্ত শিক্ষকদের কাছে রয়েছে, সেসবও মূল্যায়নে আনা হবে। এসব বিষয় মূল্যায়ন করা হলেও তা পরের শ্রেণিতে ওঠার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, ‘এবার আনুষ্ঠানিক কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না- এটা মাথায় রেখেই মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আগের (এবারের) রোল নম্বরই ফলো করবেন, সবাই পরের ক্লাসে প্রমোশন পাবে।’

দেশে করোনাভাইরা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।

মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছে না সরকার। উচ্চ মাধ্যমিকেও এবার চূড়ান্ত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নেওয়া যায়নি; এইচএসসি ও সমমানের ফল ঘোষণা করা হবে শিক্ষার্থীদের অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে।

পরীক্ষা নেওয়া না গেলেও শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা রেডিও, টিভিসহ কোন মাধ্যমে পাঠদান নিতে পারেনি বা সিলেবাস শেষ করতে পারেনি তাদেরও পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এসব শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে জানুয়ারি থেকে যদি বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরু করতে পারি তবে, গত ছয় মাসের পিছিয়ে পড়া সিলেবাস পড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য নতুন সিলেবাসের সঙ্গে এক থেকে দেড় মাস পুরাতন সিলেবাস পড়ানো হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন