যেকোনো বিবেচনায় রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আনকোরা। কিন্তু অভিষেকেই তিনি রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিলেন। বিশেষত বিজেপি নেতাদের কষে চুপ করাতে পেরেছেন। কারণ, উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধানের নিরিখে গতকাল শনিবার বাবা রাজীব গান্ধী এবং ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধীকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
তবে ভোটের রসায়নে সামান্য ব্যবধানে ‘হেরেছেন’ মা সোনিয়া গান্ধীর কাছে।
ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড থেকেই পর পর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। শেষবার, অর্থাৎ ২০২৪-এর নির্বাচনে রাহুল এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন তিন লাখ ৬৪ হাজার ৪২২টি ভোটের ব্যবধানে। উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়ে এরই মধ্যে সেই ব্যবধান ছাপিয়ে গেছেন প্রিয়াঙ্কা!
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়েনাড লোকসভা থেকে উপনির্বাচনে জিতলেন চার লাখের বেশি ভোটে।
তিনি হারালেন সিপিএমের সত্যন মোকেরিকে। বিজেপি প্রার্থী নব্য হরিদাস জায়গা খুঁজে নিলেন তৃতীয় স্থানে। এখানে ভোটদানের হার ছিল ৬৪.৭২ শতাংশ। চলতি বছরের লোকসভা ভোটে এখানে ভোটদানের হার ছিল ৭২.৯২ শতাংশ।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী যখন এখানে প্রথমবার ভোটে লড়েন, তখন ভোটদানের হার ছিল ৮০.৩৩ শতাংশ। তবে প্রথমবার ভোটে লড়েই রেকর্ড মার্জিনে জিতলেন প্রিয়াঙ্কা। এবার তিনি সংসদে গিয়ে বসবেন তার ভাই রাহুলের সঙ্গে। এদিন জয়ের পর ওয়েনাডবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ভোটের প্রচারের সময় তিনি কৃষকদের পাশে থাকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটাই এই ভোটে বড় ফ্যাক্টর হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।
লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশের রাইবেরিলি ও কেরালার ওয়েনাড দুই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। পরে ওয়েনাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিলে সেখানে উপনির্বাচনে জীবনে প্রথমবার ভোটপ্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা।
ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কা চার লাখ ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারালেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থীকে। পেলেন প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট। মাত্র ছয় মাস আগে ওই আসনে রাহুল ওয়েনাডে জিতেছিলেন তিন লাখ ৬৪ হাজার ভোটে। তার ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট। কিন্তু লোকসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার পরে উত্তর প্রদেশের রাইবেরিলি ধরে রেখে ওয়েনাডের সংসদ সদস্য পদে ইস্তফা দেন তিনি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন