মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সোর্স পরিচয়ধারীরা। তারা নিজেদেরকে সীমান্তের কিং মনে করে এবং চোরাকারবারীদের সংঘঠিত করে প্রতিদিন লাখলাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁর করছে নানান প্রকার পন্য-সামগ্রী ও মাদকদ্রব্য। তবে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ২শ ৫০ টাকা মূল্যের ভারতীয় চিনি ও ফলের চালান জব্দ করেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার (২৬শে নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে তাহিরপুর উপজেলার চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য খ্যাত চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই, কড়্ধসঢ়;ইগড়া, বারেকটিলার আনন্দপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী, বাডার বাজার ও ১২০৫ নং পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা ও পাথরসহ বিভিন্ন মালামাল পাঁচার শুরু করে সীমান্ত কিং খ্যাত সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীরা। এখবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক সীমান্ত এলাকায় বিজিবির নজরধারী বৃদ্ধি করেন। এমতাবস্থায় আজ বুধবার (২৭ শে নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চোরাচালানের নিরাপদ রোড খ্যাত লাউড়গড় সীমান্তের ১২০৩এর ৩এস পিলার সংলগ্ন দেশের ১৫০ গজ অভ্যন্তরে যাদুকাটা নদীতে মালিক বিহীন অবস্থায় ভারত থেকে পাচারকৃত ১২ লাখ ৩০হাজার টাকা মূল্যের ১০হাজার ২শ ৫০কেজি চিনি ও ২ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের ৫শ ৭৫ কেজি ভারতীয় আনার ফল জব্দ করে বিজিবির বিশেষ টহল দল। তবে সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করার জন্য চোরাকারবারীদের কিং খ্যাত সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদের গ্রেফতার করা জরুরী প্রয়োজন। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল একে এম জাকারিয়া কাদির বলেন- সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত শ্ধুসঢ়;ল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ পণ্য জব্দ করা হচ্ছে। এবিষয়ে সীমান্তে কঠোর ভাবে নজরদারি রাখছে বিজিবি। সীমান্ত অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন