শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ নিজাম উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৬ এ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি এর পরিচালক হিসেবে আইপিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহসিন আজিজ খানকে অব্যহতি প্রদান করে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ নিজাম উদ্দিন কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুনারাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন। তিনি শেরপুর এর শ্রীবরদী উপজেলার গোপালখিলা গ্রামের মরহুম শামছুল হক এবং নাজমিনা হক এর সন্তান।
অধ্যাপক ড. মোঃ নিজাম উদ্দিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি রসায়ন এ ব্যাচেলর অব সায়েন্স (অনার্স), ভৈত রসায়ন এ মাস্টার্স অব সায়েন্স শাবিপ্রবি হতে সম্পন্ন করেন। এরপর বুয়েট থেকে মাস্টার্স অব ফিলোসফি, জাপান থেকে মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডক্টর অব ফিলোসফি সম্পন্ন করেন। তিনি সাগা ইউনিভার্সিটি (জাপান), পুসান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (দক্ষিণ কোরিয়া) এবং বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটি (তুরস্ক) তে পোস্টডক্টরেট করেন। শাবিপ্রবি তে অধ্যাপনা ছাড়াও তিনি কপ্পিন স্টেট ইউনিভার্সিটি, মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নীয়া, ডেভিস, যুক্তরাষ্ট্র এ ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে ভ্রমণ করেন। বিভিন্ন জার্ণাল, কনফারেন্স প্রসিডিং এবং কনফারেন্স এবস্ট্রাক্ট হিসাবে তার প্রায় ১৩০ টির অধিক পাব্লিকেশন্স রয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ট্রেইনিং এবং ওয়ার্কশপ এর উদোগ নেব। টিচিং প্রফেশন কে আরো আকর্ষণীয় করতে টেকনিক ও টেকনোলজির সমন্বয় করা সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আপ-টু-ডেট ধারণা ব্যাবহার এর ব্যপারে উদ্যোগী হবেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আলাদা ট্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা করা গ্রহণ করা হবে।
সর্বোপরী সময় উপযোগী এবং আউট-কাম-বেজড শিক্ষা কার্যক্রম ইমপ্লিম্যান্ট করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাছাড়া দেশের এবং কর্মক্ষেত্রের প্রচলিত আইন কানুন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়ে সম্যক ধারণা সৃষ্টির নিমিত্ত্বে চাকুরীর প্রাথমিক স্তরে ফাউণ্ডেশন ট্রেইনিং প্রবর্তন এর ব্যাপারে তার আগ্রহ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাকে এই দায়িত্ব প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি এই দায়িত্ব পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন