বোতোফোগোর চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে অবিশ্বাস্য বললেও যেন কম বলা হয়। প্রথমবারের মতো কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালে খেলতে নেমেই যে ধাক্কা খেয়েছিল তারা। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের শীর্ষ টুর্নামেন্টের ফাইনাল শুরু হতে না হতেই যে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
সেটিও মাত্র ২ মিনিটের মাথায়।
হয়তো ম্যাচ দেখতে আসা অনেক দর্শকও তখন নিজেদের আসনে বসতে পারেননি। এমন সময়ই আবার প্রথমবার ফাইনাল খেলতে নামা দলটির মিডফিল্ডার গ্রেগরি লাল কার্ড দেখেন। হাই কিক নিতে গিয়ে ব্রাজিলের আরেক ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরোর মিডফিল্ডার ফাউস্তো ভেরার মাথায় আঘাত করে বসেন তিনি। এতে সঙ্গ সঙ্গে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
অন্যদিকে তখন ভেরার মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে।
শুরুতেই হাসি বন্ধ হয়ে গেলেও ঠিকই শেষে হেসেছে বোতাফোগো। অল ব্রাজিলিয়ান ফাইনালে প্রতিপক্ষকে পরে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তারা। এমন মাহেন্দ্রক্ষণ এনে দেওয়ার তিন কারিগরই ব্রাজিলিয়ান।
বোতোফোগোর হয়ে গোল তিনটি করেছেন লুইস এনরিকে, অ্যালেক্স টেলেস ও বদলি নামা জুনিয়র সান্তোস। প্রতিপক্ষের হয়ে ব্যবধান কমান বদলি নামা চিলির ফরোয়ার্ড এদুয়ার্দো ভারগাস।
একজন খেলোয়াড় কম থাকার সুবিধা নিয়ে পুরো মাঠে মিনেইরো দাপট দেখালেও গোলবলের খেলায় যা দরকার সেই গোলটিই পাচ্ছিল না। উল্টো মাত্র ২০ শতাংশ বল পজিশন পাওয়া বোতোফোগো ৩৫ মিনিটে এগিয়ে যায়। বক্সের মধ্যে থেকে জোরালো শটে দলকে আনন্দে ভাসান এনরিকে।
সেই আনন্দের রেশ শেষ হতে না হতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডিফেন্ডার টেলেস। ৪৪ মিনিটে সফল স্পটকিক নেন তিনি। ৪১ মিনিটে বক্সের মধ্যে মিনেইরোর খেলোয়াড় ফাউল করলে ভিএআরে পেনাল্টি পায় বোতোফোগো।
বিরতির পরেই অবশ্য ব্যবধান কমায় মিনেইরো। ৪৭ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হাল্কের পাস থেকে ভারগাস যে ব্যবধান কমান সেটাই মিনেইরোর প্রথম ও শেষ গোল। শেষ দিকে উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৭ মিনিটে মিনেইরোর জালে শেষ পেরেক মারেন সান্তোস। এতে করে ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা মাতে বোতোফোগো। অন্যদিকে দারুণ সুযোগ পেয়েও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নদের রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন