দামেস্কের পথে পথে উল্লাস, উমাইয়াদ স্কয়ারে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় সিরিয়ার ক্ষমতায় থাকা ‘স্বৈরশাসক’ বাসার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়ায় আজ সকালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে অজানা গন্তব্যে পালিয়ে যান তিনি। তার পালিয়ে যাওয়ার খবরে রাজধানীসহ সারা দেশে বিজয় উল্লাস করতে দেখা গেছে বিদ্রোহীদের। নানা স্লোগানে মেতেছেন দেশটির বাসিন্দারা।

 

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ গাড়িতে এবং হেঁটে দামেস্কের প্রাণকেন্দ্র উমাইয়াদ স্কয়ারে জড়ো হচ্ছেন। ‘স্বাধীনতা’ নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন তারা। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, দামেস্কের উমাইয়াদ স্কয়ারে বেশ কিছু লোক পরিত্যক্ত সামরিক ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন এবং আনন্দ উদযাপনে গান গাইছেন।

বিদ্রোহীরা বলছেন, আসাদ সরকারের নিপীড়নের শিকার শত শত মানুষ, যারা কারাবন্দি ও বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন, তারা এখন নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারেন।

দামেস্কের সেদনায়া কারাগার থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানান বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি।

 

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, বিদ্রোহীদের হাতে দামেস্কের পতন হয়েছে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান আসলেই হয়েছে কি না সেটিও বলা যাচ্ছে না।

তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি ইসলামিক সশস্ত্র গোষ্ঠী, যারা এই অভিযানের নেতৃত্বে আছে, তাদের টেলিগ্রাম হ্যান্ডেলে বলেছে, এর মাধ্যমে একটি অন্ধকার যুগের অবসান ঘটেছে এবং এক নতুন যুগের সূচনা ঘটেছে।

 

প্রসঙ্গত, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। এর আগে তার বাবা হাফিজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন।

এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন