ভালো বা মন্দ কর্ম যেমনই হোক না কেন তার ফল প্রত্যেককে ভোগ করতে হবেই। তা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তেমনি শাস্তি ভোগ না করে মুক্তি পাচ্ছেন না মোহাম্মদ সিরাজ ও ট্রাভিস হেডও।
অ্যাডিলেড টেস্টে বাগবিতণ্ডায় ঝড়ানোর কারণে সিরাজ-হেডকে আজ শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
দুজনের শাস্তি ক্ষেত্রে অবশ্য মাত্রাটা কম বেশি রয়েছে। বাগবিতণ্ডার শুরুটা সিরাজ করায় শাস্তি বেশি পেতে হচ্ছে ভারতীয় পেসারকে। ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তার। অন্যদিকে জরিমানার কবলে না পরলেও তিরস্কৃত হয়েছেন হেড।
এর বাইরে সিরাজ-হেডের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ডিমেরিট পয়েন্টও। এক করে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন দুজনই। সর্বশেষ ২৪ মাসে ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার এটি প্রথম ঘটনা দুই ক্রিকেটারের।
যার জন্য শাস্তি পেয়েছেন সিরাজ-হেড সেই ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৮২তম ওভারের।
হেডকে বোল্ড করে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান সিরাজ। এতে করে দুজনের মধ্যে কিছু কথাবার্তা চালাচালি হয়। আউট করার উত্তেজনায় ভারতীয় পেসার সে সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন। পারবেনই বা কী করে? হেড যখন আউট হলেন ততক্ষণে যে ভারতীয় বোলারদের কচুকাটা করেছেন তিনি। সঙ্গে সিরাজ-জাসপ্রিত বুমরাদের হতাশার চাপ বাড়িয়েই দিচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার।
বলা যায় ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে একাই ভারতকে হারিয়ে দেন হেড। ১৪১ বলের ইনিংসটি সাজান ১৭ চার ও ৪ ছক্কায়। তাকে বোল্ড করে তাই সাজঘরের পথ দেখিয়ে সব হতাশা যেন ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন সিরাজ। হেডের সেই ইনিংসে ভর করেই পরে ১০ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরে অস্ট্রেলিয়া। ঝোড়ো ইনিংসটির জন্য পরে ম্যাচসেরা হন তিনি।
সিরাজ আচরণবিধির অনুচ্ছেদ ২.৫ ভেঙেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিসি। ব্যাটার আউট হওয়ার পর কোনো ধরনের আক্রমণাত্মক ভাষা, কাজ, অঙ্গভঙ্গি করা যাবে না তা সেই ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে হেডের বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ ২.১৩ ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারাটি হচ্ছে ম্যাচ চলাকালীন সময় আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়দের সহায়তাকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সম্পর্কিত। দুজনই শাস্তি মেনে নেওয়ায় শুনানির আর প্রয়োজন নেই।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন