সিরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৪৮০ বার আঘাত হেনেছে ইসরায়েছি সামরিক বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল অস্ত্র ভাণ্ডার, নৌবাহিনী স্থাপনা, বিমানবন্দর, এবং ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধজাহাজ আল-বাইদা এবং লাতাকিয়া বন্দরে থাকা ১৫টি নৌযান ধ্বংস করেছে। এছাড়া দামেস্ক, হোমস, তারতুস এবং পালমিরার মতো শহরগুলোতে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, গোলাবারুদের গুদাম এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি ট্যাংক সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে পৌঁছেছে এমন খবরকে গুজব বলে দাবি করেছে আইডিএফ। যদিও তাদের হামলার ফলে শহরটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি লাতাকিয়া বন্দরের বিস্ফোরণের ভিডিও যাচাই করে জানিয়েছে, বন্দরের বিভিন্ন অংশ ও নৌযান ধ্বংস হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই অভিযানের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কৌশলগত সক্ষমতাগুলো ধ্বংস করা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শামকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি তারা ইরানকে সিরিয়ায় পুনর্গঠিত হতে দেয়, তবে ইসরায়েল কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকেই এসব হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, গত রোববার আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ওপর অন্তত ৩১০টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কুনেইত্রা প্রদেশের কৌশলগত অঞ্চলগুলোতে নিজেদের দখলদারত্বও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আল-জাজিরার ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা সানাদ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা হেরমনের পাহাড়সহ আশপাশের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রবেশ করেছে।
জানা গেছে, সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। তবে দখল করা এলাকাগুলোতে এখনো কোনো স্থায়ী সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন