সুদে-আসলে যেন বুঝে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ তো দূরের কথা ম্যাচও জিততে পারছিল না তারা। সিরিজ শুরুর আগে সর্বশেষ খেলা ১১ ওয়ানডেতেই হেরেছিল তারা। গতকাল রেকর্ড ৩২২ রান তাড়া করে তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করে সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের ধারায় ফিরলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটা জায়গায় দেখা যায় কোনো পরিবর্তন নেই। আর সেটা হচ্ছে ম্যাচ বা সিরিজ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বারবার বলেই যাওয়া। সংবাদ সম্মেলনে ‘মুখের’ পরিবর্তন হলেও কথার পরিবর্তন হয় না। সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা যারাই আসেন না কেন কথা একই থাকে।
গতকালও যেমন সিরিজ হারের পর পুরোনো কথাই আওড়ালেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম এবং মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট নিতে পারিনি। এটাই আমাদের সমস্যা। (প্রথম ওয়ানডে) নাহিদ, তাসকিন, তানজিমে আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম।
কিন্তু তারপর আমরা মাঝের ওভারগুলোয় ভালো বোলিং করতে পারিনি। আমরা উইকেট পাইনি।’
প্রতিটি সিরিজে হারলেই বাংলাদেশের যে ক্রিকেটারই সংবাদ সম্মেলনে আসুক না কেন তারা হারার পর বলেন আমরা শিখতেছি। সিরিজের শিক্ষাটা সামনে কাজে লাগাব। কিন্তু পরের সিরিজে তার লক্ষণ খুবই কম দেখা যায়।
পরের সংবাদ সম্মেলনে এসে আবার পুরোনো গল্পই শোনাতে থাকেন তারা। সঙ্গে শোনান ব্যাটিং ভালো হয়নি কিংবা বোলিং ভালো হয়নি। আর দুই একজন ক্রিকেটারের ভালো পারফরম্যান্সের প্রশংসা। এভাবেই যেন শিক্ষা সফর চলতেই থাকে।
ওয়ানডেতে সর্বশেষ টানা চার ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ। ছবি : ক্রিকেইনফো
আধুনিকতার এই যুগে অন্য দলগুলো দিন দিন উন্নতি করলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে আর উন্নতির ছোঁয়া লাগে না। শুধু উন্নতির গাল গল্প শোনা যায়। যেমটা চ্যাম্পিয়নস লিগকে সামনে রেখে গতকালও শোনালেন মিরাজ। পুরস্কার বিতরণীর সময় তিনি বলেছেন, ‘সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে, আমরা জানি, আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশার কথা হলো, কীভাবে উন্নতি করতে হবে, সেটা আমরা বুঝি।’
ম্যাচ হারের পর কিছু খেলোয়াড় না পাওয়ার অজুহাতও ঝড়ে কখনো কখনো সংবাদ সম্মেলনে আসা ব্যক্তির কণ্ঠে। এ সিরিজে মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুস্তাফিজুর রহমানকে না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘সিরিজে আমরা বেশ কজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাইনি।’
সাফল্য যে পায় না বাংলাদেশ এমনটা অবশ্য নয়। তবে তার মাত্রা খুবই কম। দলের একের পর এক হারের মাঝে শুধু ‘গোবরে পদ্মফুল’ হিসেবে পাওয়া যায় ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। এই সিরিজেই যেমন ৩৮ বছর বয়সেও দলের হাল ধরেছেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। টানা তিন ম্যাচে ফিফটি করেছেন তিনি। সঙ্গে সিরিজ শুরুর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে মাহমুদ উল্লাহর প্রশংসা তাই ঝড়েছে মিরাজের কণ্ঠে, ‘তিনি খুব ভালো খেলেছেন। সিরিজে তিনটি ফিফটি পেয়েছেন, যা দলের জন্য ভালো মুহূর্ত। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন