গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় জনতার

জনআকাঙ্ক্ষার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয়ে গতকাল সোমবার দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে ৫৪তম মহান বিজয় দিবস। রাজধানী ঢাকাসহ নানা কর্মসূচিতে বৈষম্যহীন-ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে কোটি জনতার কণ্ঠে। 

গোটা জাতি এদিন গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বিনম্রচিত্তে স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতোভয় শহীদ বীর সেনানীদের স্মরণ করেছে। লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের সঙ্গে সঙ্গে তারা বিজয় উৎসবেও মেতে উঠেছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে হারানো স্বজনের জন্য কেঁদেছে স্বজন। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকে ঘিরে লাখো মানুষের ঢল নামে। 
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসনের পতন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নতুন অভিযাত্রার প্রেক্ষাপটে এবারের বিজয় দিবস ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। জাতির প্রত্যাশিত রাষ্ট্র সংস্কার এবং দুর্নীতি ও নির্যাতন-নিপীড়নমুক্ত দেশ গঠনের দাবিটিও বিজয়ের নানা কর্মসূচিতে উচ্চারিত হয়েছে জোরেশোরে। 

রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর এলাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনের শীর্ষে উত্তোলিত হয় লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। সব রকমের যানবাহনে ও হাতে হাতে শোভা পেয়েছে ছোট ছোট পতাকা। সারাদেশের সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোতে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি রংবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও আলোকসজ্জা করা হয়। 

এদিন ছিল সরকারি ছুটি। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদপত্র বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুরূপ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করে। 

দেশের সব জেলা-উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা এবং শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে। 

জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদরা। সকাল থেকেই হাতে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে রংবেরঙের ফুল আর ব্যানারসহ জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন তারা। 

দিনের শুরুতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সকাল সাড়ে ৬টায় প্রথমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রতি ও পরে সকাল ৭টায় প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানান। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। 
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানান। 

এর পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজমের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরাও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। এ সময় বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় গোটা স্মৃতিসৌধ এলাকা। 

সকালে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাৎক্ষণিক তাঁকে সাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সালাউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের শায়রুল কবীর খান।

এদিকে স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংঠনের নেতাকর্মীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ পাননি। গোটা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও শোনা যায়নি। তবে দুপুর সাড়ে ১২টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হন দলের ঢাকা জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মাহবুব। কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে ব্যানার ছাড়াই ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ লেখা একটি ফুলের ডালা নিয়ে স্মৃতিসৌধের প্রধান গেট থেকে মূল বেদির দিকে অগ্রসর হতেই গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাঁকে আটক করে। পুলিশ ফুলের ডালা থেকে কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ লেখাটি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় পুলিশ মাহবুবের সঙ্গে থাকা আরও সাত নেতাকর্মীকে আটক করে। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এলে আওয়ামী লীগের জোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। 

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। 

দলের নেতাকর্মীকে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। তবে স্বাধীনতা ও বিজয় দুটি এক কথা নয়। মানুষের জন্ম-মৃত্যুর মতো স্বাধীনতা একবারই আসে। কিন্তু বিজয় আসে বারবার। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান দেশে একটা ঐতিহাসিক বিজয় এনেছে। 

বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব-পরবর্তী সম্পূর্ণ নতুন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিদ্যমান ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে একটি শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণই বর্তমান প্রজন্ম ও দেশবাসীর চাওয়া। বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। 
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র, গণতন্ত্র, গণতন্ত্র। এ জন্য অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বির্নিমাণের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তা আজও পূরণ হয়নি। এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গত ৫৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দেশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান আরেকবার শহীদদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি করেছে। 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, একাত্তরে তরুণরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও সেই স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারেনি। বরং দেশ উল্টো পথে চলছিল। আজ তরুণরা সরকারে আছে, আগামীর সরকারেও থাকবে। তরুণদের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জাসদ, এবি পার্টি, লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, এলডিপি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাসদ, গণফোরাম, জেএসডি, বাসদ (মার্কসবাদী), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাসদ, সাম্যবাদী দল, ন্যাপ-ভাসানী, জাগপা, এনপিপি, পিপলস পার্টি, যুবদল, শ্রমিক দল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা দল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ড্যাব, প্রশিকা, স্কপ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় যুব জোট, জাতীয় শ্রমিক জোট, ছাত্রলীগ (জাসদ), সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, উদীচী, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, খেলাঘর, কচিকাঁচার মেলা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, মহিলা পরিষদ, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, পরমাণু শক্তি কমিশন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, সিআরপি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। 

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বিকেলে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমান্য ব্যক্তির সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তবে রাষ্ট্রপতির এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অনুষ্ঠানে তাদের নেতৃস্থানীয় অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সমন্বয়করা। 

আরও যেসব আয়োজন
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং দুপুরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে সর্বজনীন কনসার্ট করেছে। 

জামায়াতে ইসলামী সকালে রাজধানীতে বিজয় র‌্যালি করেছে। দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে থেকে এবং মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিজয়নগর থেকে পৃথক বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। 

জাসদ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা করেছে। দলের সহসভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন শওকত রায়হান, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, সাইফুজ্জামান বাদশা, মনির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। 

জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলন মোহাম্মদপুর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সংগঠনের মোহাম্মদপুর থানা শাখার আহ্বায়ক ড. তারিকুজ্জমান সুদানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন কণা, ডা. মিলন কিবরিয়া প্রমুখ।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন