গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় একই পরিবারের ১২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত খাল্লাহ পরিবারেরর বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহতের উদ্ধার করছে ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংস্থার সদস্যরা।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। সবচেয়ে বড় শিশুটির বয়স মাত্র ছয় বছর। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা হামাসের একটি সামরিক কাঠামোতে কর্মরত বেশ কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ওই অঞ্চলে কর্মরত আইডিএফ সৈন্যদের জন্য হামাস হুমকিস্বরূপ বলেও উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে আল-আকসা মারটিয়ার্স হাসপাতাল জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলার ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছে। এছাড়া বেইত হানুনে বিমান হামলার ঘটনায় দুই শিশু এবং তাদের বাবা-মা মোট চারজন নিহত হয়েছে।
এর আগে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৭৪ জন। তাছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ তোলে মানবাধিকার সংস্থাটি।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এমনকি ন্যূনতম এই পরিমাণ পানিও জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। গাজাবাসীদের আওতায়ধীন এলাকায় থাকা পানি সরবরাহের প্রায় পুরোটাই পান অযোগ্য। এমনকি সদ্যোজাত যেসব শিশু মায়ের অপুষ্টির কারণে বুকের দুধ পায় না, তাদেরকেও এই দূষিত পানিতে মেশানো খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ২০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক লাখ সাত হাজার ৫১২ জন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন