জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
সিলেট-তামাবিল চারলেন মহাসড়কের উন্নয়নপ্রকল্পে খিদিরপুর, আটগাঁও, চুয়াবহর বটেশ্বর ও বটেশ্বর মৌজা সমূহের ভূমি এবং এলাইনমেন্ট নামীয় অধিগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নবাসী শাহপরাণা থানাধীন বাইপাস সুরমা গেইট পয়েন্টে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে পারভেজ আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মানিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক মখলিছ উর রহমান, হাজী আব্দুল মালিক, সাইদুর রহমান সাঈদ, কামরুল ইসলাম ও শাহজাহান আহমদসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- যেহেতু এটি কানেকটিভিটি সড়ক, তাই বাংলাদেশের স্বার্থের তুলনায় ভারতের স্বার্থ অধিক। তাই বিগত সরকারের কিছু কর্মকর্তা অর্থ আত্মসাত লুটপাট করার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক কু-মতলব বাস্তববায়নে উন্নয়নের নামে এ অধিগ্রহণ প্রকল্প প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।
বর্তমানে সিলেট-তামাবিল চারলেন উন্নতিকরণ প্রকল্প বাস্থবায়নের লক্ষ্যে অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের ডিজিটাল নকশা প্রস্তুতের সহযোগিতার নিয়জিত (CCDB)-এর কর্মকর্তাগণ সুরমা গেইট বাইপাস থেকে জালালাবাদ ক্যান্টনম্যান্ট পর্যন্ত অধিগ্রহণের জন্য খসড়া নকশা প্রস্তুতির কাজ করছেন। তাই সাধারণ জনতার উল্লেখিত মৌজাসমূহের অধিগ্রহণকৃত এলাকায় বিল্ডিং, বাড়ি, ঘর, দোকানপাট, সো-মিল, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, হাট বাজার, শিল্প কারখানা ও পেট্রোপাম্প অধিগ্রহণ করলে শুধুমাত্র কানেকটিং সড়কে উন্নয়নের তুলনায় সরকারের প্রয়োজনাতিরিক্ত ব্যয় হবে এবং সাধারণ জনতার বসবাস ও কর্মসংস্থান ধ্বংস হয়ে মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে। ফলে সিলেট-তামাবিল চারলেন উন্নতিকরণ প্রকল্পে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ না করে ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত প্রকল্প বাস্থবায়নে পিডি আশ্বাস দিলে ও জানা যায় সড়ক ও জনপথের ১৩০-১৩৫ ফুট প্রস্থ ভূমি থাকা স্বত্বে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক অবৈধ উদ্দেশ্য হাসিল ও অধিক পার্সেন্টটিজ অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য বিগত সরকারের দুসরদের ইশারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একনেকে সরকারকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয়ভারের দায় নিতে হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ জনতাকে ধ্বংসের দিকে টেলে দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন- সিলেট-তামাবিল চারলেন উন্নতিকরণ প্রকল্পে প্রস্তাবিত অধিগ্রহনকৃত ভূমির শ্রেণী সমুহ বিগত ১০/১১ পর্বে হয়েছিল। ওই সময়কার দর ধরে বর্তমানেও ভূমি অধিগ্রহণ চলছে। কিন্তু বর্তমানে উল্লেখিত মৌজার দোকান পাট বা বাণিজ্যিক শ্রেণি, ইন্ডাস্ট্রিজ শ্রেণিসমূহের প্রতি শতক ভূমির মূল্য ১৫-১৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু সাধারণ জনতাকে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের লক্ষ্যে সরকারে গড় মূল্য তালিকায় অতি নিম্নমানের মূল্য উল্লেখ রয়েছে। তাই বি.এস রেকর্ড চূড়ান্ত গেজেট না হওয়া পর্যন্ত এবং বর্তমান বাজার মূল্য গড় মূল্য তালিকায় হাল নাগাদ না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহন করলে সাধারন জনতার অপূরনীয় ক্ষতি হবে। ফলে যত দ্রুত সম্ভব সঠিকভাবে ভূমির মূল্য নির্ধারণ করত সকল দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন না করা হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, সিলেট-তামাবিল সড়কের ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি বন্ধ ও সঠিকভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করতে ইতিপূর্বে খিদিরপুর, আটগাঁও, চুয়াবহর বটেশ্বর ও বটেশ্বর মৌজা সমূহের ভূমির মালিকগণ এবং সাধারণ জনতা প্রধান উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সিলেট জেলা প্রশাসনসহ সকল দপ্তরে লিখিত আবেদন প্রদান করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন