আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এমসি কলেজে মানববন্ধন

জিবি নিউজ প্রতিনিধি//

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবীতে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 

বৃহস্পতিবার কলেজের প্রধান ফটকের সামনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মুরারিচাঁদ কলেজ ইউনিটের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
 

 

 

মানববন্ধনে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় গঠন ও উপসচিব পদে সকল কোটার অবসান এবং জনবান্ধব সিভিল সার্ভিসের দাবি জানান বক্তারা।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন মুরারিচাঁদ কলেজ ইউনিটের সভাপতি প্রফেসর মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুরারিচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ। এসময় তিনি বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছর অতিক্রম করলেও আজো আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবীতে। এটা আসলে ভাবতেই খারাপ লাগে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রম করেছি এবং আমরা যে অবস্থানে ছিলাম, আন্তঃক্যাডার যে সম্পর্ক ছিল, সেই সম্পর্কের উন্নয়ন না হয়ে সম্পর্কের অবনয়ন হয়েছে। প্রশাসন ক্যাডার যেরকম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পিএসসির মাধ্যমে ক্যাডার হয়েছেন, আমার যারা সহকর্মী তারা কিন্তু একই পিএসসি, একই পরীক্ষা, বিসিএস, একই প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে তারপরে ক্যাডার হয়েছেন। আপনাদের মধ্যে যারা সচিব আছেন, অতিরিক্ত সচিব আছেন তারা অনেকে সেই সময়ে ২ বছরের ডিগ্রি কোর্স শেষ করে অনেকেই কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেছেন পিএসসির মাধ্যমে। আমরা যখন যোগদান করি শিক্ষা ক্যাডারে আমাদেরকে ৩ বছরের অনার্স কোর্স এবং ১ বছরের মাস্টার্স কোর্স শেষ করতে হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, যেটাকে বলি আমরা মেধা। মেধার লালন কি আপনারা করতে পারছেন?
 

তিনি আরো বলেন, আমরা কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই। অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমরা যারা শিক্ষা কর্মকর্তা আছি, আমাদের ডিজি মহোদয় আছেন, নায়েবে ডিজি আছেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান আছেন, বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপালরা আছেন। সবাই কিন্তু জনসদস্য আমরা। একই পরীক্ষা দিয়ে আসছি। তাহলে উনারা কি জন্য এই মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিকভাবে কেন প্রশাসনিক প্রধান আমাদের ডিজি মহোদয় হবেন না, আজকে এই প্রশ্নটুকু প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে আস্তে আস্তে উচ্চারিত হচ্ছে এবং সবাই সামনে এগিয়ে আসছে। যেহেতু আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই এবং এই যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এটা কিন্তু শুধু বলার জন্য না, বিশ্বাস থেকে করতে হবে। এজন্য আমরা কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই।
 

 

গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাগর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর মোহাম্মদ তোফায়েল আহাম্মদ, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। এসময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

এসময় বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে যারা চাকরি করতে আসেন, উনারা কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই আকর্ষণীয় চাকরি ছেড়ে আসেন শুধুমাত্র শিক্ষকতার মহান পেশার জন্য এবং শিক্ষার প্রসার প্রান্তিক অঞ্চলে পৌছে দিতে। সেইজন্য কিন্তু এই কর্মকর্তারা শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। কিন্তু, আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি বিশেষ ক্যাডারের চক্রান্তে অথবা বিশেষ ক্যাডারের অনাগ্রহের কারণে আমরা যুগ যুগ ধরে নানাধরনের সুযোগসুবিধা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। বৈষম্যহীন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, সকল ক্যাডারের সুযোগসুবিধা সমানভাবে যেন ভোগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা। আমরা সবাই প্রজাতন্ত্রের সেবক, কেউ আমরা প্রশাসক নই। আমরা সেবক হয়েই থাকতে চাই।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন