সর্বশেষ কয়েক মৌসুম ধরেই ম্যাচ জয়কে যে দল অভ্যাসে পরিণত করেছে সেই ম্যানচেস্টার সিটিই এখন হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারে না। টানা একের পর এক হার ও ড্রয়ের দুঃসময় যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না।
আজ সেই দুঃসময় আরো দীর্ঘায়িত হয়েছে। এভারটনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদে জয়ের লক্ষ্যে নেমে ড্র সঙ্গী হয়েছে ম্যানসিটির।
অথচ ম্যাচের শুরুতেই উল্লাসে মেতে উঠেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ডান প্রান্তে জেরেমি ডকুর পাস ধরে ১৪ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন বের্নার্দো সিলভা। এবারের মৌসুমে দ্বিতীয় গোল পর্তুগিজ তারকার। আর ১৭তম ম্যাচে এসে লিগে প্রথম গোল পেলেন গত মৌসুমে ১১ গোল ও ১০ অ্যাসিস্টে অবদান রাখা সিটির মিডফিল্ডার।
তবে ৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সিটি। গোল পোস্ট বাধা না হলে। ফিল ফোডেনের ক্রসে দারুণ এক হেড করেছিলেন জোকো ভার্দিওল। তবে পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় সম্প্রতি কঠিন সময় পার করা ম্যানসিটিকে।
৩৩ মিনিটে মৌসুমের তৃতীয় গোল পেতে পারতেন সিলভা। গোলের সুযোগটাও ছিল সুবর্ণ। কিন্তু যা করলেন তার কোনো ব্যাখ্যাই যেন হয় না। ফোডেনের পাস যখন পেলেও তখন প্রতিপক্ষের গোলবারের মাঝখানে শুধুই ঠায় দাঁড়িয়ে জর্ডান পিকফোর্ড। কিন্তু বাঁ পায়ে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার যে জোরাল শটটা নিলেন তা পোস্টের অনেক বাইরে।
সিলভা দলকে ব্যবধান দ্বিগুণ এনে দিতে না পারলেও এভারটনকে সমতায় ফিরিয়েছেন ইলিম্যান দিয়ায়ি। ৩৬ মিনিটে দারুণ এক শটে বলকে জালে জড়িয়ে সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার মুখকে মলিন করে দেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড।
বিরতি শেষে আবারো এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় ম্যানসিটি। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারলেন না দলের সেরা গোলস্কোরার আর্লিং হালান্ড। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে ১৮ গোল করা হালান্ড ব্যর্থ হলেন পেনাল্টিতে গোল করতে। ডান দিকে ঝাঁপ দিয়ে নওরেজিয়ান স্ট্রাইকারের শট ঠেকিয়ে দিলেন এভারটনের গোলরক্ষক পিকফোর্ড। এতে কপালও পুড়ে সিটির।
যোগ করা সময়ের ৯১ মিনিটে রিকো লুইসের শটটা গোলবারে থাকলে হয়তো জয় পেতে পারত ম্যানসিটি। কিন্তু বক্সের মধ্যে ডান পায়ের জোরাল শট বারের ওপর দিয়ে মারলেন। সেই সঙ্গে নিজেদের জয় পাওয়ার আশাও যেন উড়ে যায়। শেষে ঘরের মাঠে ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সিটিজেনদের।
সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে সিটির জয় মাত্র ১ টি। বাকি ১২ ম্যাচের ৯ হারের বিপরীতে ড্র ৩টি। এভাবে একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশন থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে সিটি। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে গার্দিওলার দল। অন্যদিকে ৩৯ পয়েন্টে শীর্ষে আছে লিভারপুল। সিটির চেয়ে এক ম্যাচ আবার কমও খেলেছে তারা। রাতে অবশ্য লেস্টার সিটির বিপক্ষে পয়েন্ট বাড়ানোর সুযোগ থাকছে অলরেডদের।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন