বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আজ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মানবোধ ও আত্মবিশ্বাসের ওপরে গড়ে উঠেছে। শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ‘চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার সভ্যতা ও সংযোগ : ইতিহাস ও সমসাময়িক ইস্যু’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চীনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই অঞ্চলে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের শিক্ষার্থীরা পড়তেন। একই সঙ্গে এখানের অতীশ দীপঙ্কর তিব্বতে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া এই অঞ্চলের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবেই চীনের বাণিজ্য ও সংযোগ ছিল, যা এখনো বিদ্যমান।
’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। এ কাজে বাংলাদেশ চীনের আরো আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে।’ এ সময় চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। কভিড কিংবা জুলাই আন্দোলনেও চীনা কম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে যায়নি। সব প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘চীন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এই অঞ্চলের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় চীন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, পাওয়ার চায়না ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ লিমিটেডের ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হি মিং, বাংলাদেশে
ওভারসিজ চায়নিজ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝাও শিবো, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন