পশ্চিম কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়েছিল। বিমানটি থেকে বেঁচে যাওয়া দুজন যাত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন।
গত বুধবার বড়দিনে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই এটি কাজাখস্তানের আকতাউয়ের কাছাকাছি স্থানে বিধ্বস্ত হয়।
আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট (জে২-৮২৪৩) বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনিতে নির্ধারিত রুট থেকে কয়েক শ মাইল দূরে কাস্পিয়ান সাগরের বিপরীত তীরে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকা অতিক্রম করে এসেছিল সেখানে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা এড়াতে বেশ কয়েকবার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে মস্কো।
এ পর্যন্ত আজারবাইজানের বিমানে থাকা ৬৭ জন যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে ৩৮ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন রুশ নাগরিক ছিলেন।
বিমানটি থেকে বেঁচে ফিরেছেন ২৯ জন।
বিমান থেকে বেঁচে ফেরা শুভনকুল রাখিমভ নামে এক যাত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বিস্ফোরণের পর...আমি ভেবেছিলাম বিমানটি বিধ্বস্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এরপরই আমি প্রার্থনা করা শুরু করি। আমি ধরে নিয়েছিলাম জীবনের শেষ সময় চলে এসেছে।
’
শুভনকুল রাখিমভ বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বিমানটি কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মনে হচ্ছিল বিমানটি পাগল হয়ে গেছে। আমি আর ওই বিমানে উঠতে চাইব না।’
বিমানের আরেক যাত্রীও রয়টার্সকে বলছেন, তিনিও বিকট শব্দ শুনেছেন।
ভাফা শাবানোয়া নামে ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম।
দ্বিতীয় একটি শব্দও পেয়েছিলাম।’ এরপর একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাকে বিমানের পেছনে চলে যেতে বলেন।
দুই যাত্রীই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর কেবিনে অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল বলে মনে হয়েছে।
যাত্রীদের কাছ থেকে এসব উদ্ধৃতি থেকে বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর শুক্রবার আজারবাইজান এয়ারলাইনস রাশিয়ার অভিমুখের ফ্লাইট বাতিল করেছে। তারা বলেছে, প্রযুক্তিগত কিংবা কৃত্রিম হস্তক্ষেপের কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। যদিও এটি নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেয়নি তারা।
রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দ্বারা বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট আজারবাইজানের চারটি সূত্র গতকাল রয়টার্সকে জানিয়েছিল।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন