ট্রাম্পের শুল্কারোপ ঠেকাতে ট্রুডোর ২ মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে

কানাডার মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যরা শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল কানাডার পণ্যের ওপর সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের হুমকি ঠেকানো।  

কানাডার নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাংক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে ট্রাম্পের বানিজ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। লুটনিক ট্রাম্পের শুল্ক ও বাণিজ্য নীতিমালা পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবেন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদপ্রার্থী ডগ বার্গামও উপস্থিত ছিলেন।  

 

লেব্ল্যাংকের মুখপাত্র জ্যাঁ-সেবাস্তিয়ান কোমো বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে একে ‘ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করেছেন।  

ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর পরই কানাডা থেকে সব আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই শুল্ক তখনই প্রত্যাহার করা হবে, যখন কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত অভিবাসী ও ফেন্টানিল মাদক প্রবাহ বন্ধে পদক্ষেপ নেবে।

অন্যদিকে ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি কার্যকর করলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।  

 

এ ছাড়া কোমো এক বিবৃতিতে জানান, লেব্ল্যাংক ও জোলি বৈঠকে কানাডার সীমান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ফেন্টানিলের কারণে হওয়া ক্ষতি মোকাবেলা করা। কানাডীয় ও মার্কিনদের জীবন রক্ষায় মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

অটোয়া প্রায় ১০ লাখ কানাডীয় ডলার (৬৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাজেটের সীমান্ত পরিকল্পনা ট্রাম্পের উদ্বেগ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।  

লুটনিক ও বার্গাম বৈঠকের তথ্য ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রুডো বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। এ মাসের শুরুর দিকে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক পদত্যাগের পর লেব্ল্যাংক অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।  

পদত্যাগপত্রে ফ্রিল্যান্ড ট্রুডোর বিরুদ্ধে ভোটারদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।

তিনি বলেছেন, ট্রুডো দেশের অর্থনীতিকে সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।  

 

কানাডার ৭৫ শতাংশের বেশি রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায় এবং প্রায় ২০ লাখ কানাডীয় চাকরি এই বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল।

 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন