"যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বৃটেনের কার্ডিফ শহরে গত ২৬ শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১২ ঘটিকায় সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদ মুক্ত গনতান্ত্রিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গিকারে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশের ৫৪ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রাক্তন ছাত্রনেতা এম এ মালিক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা সহ মুক্তিযোদ্ধে অবদানকারী সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল,ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, আব্দুর রুউফ, সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভার সভাপতির বক্তব্যে ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা সহ মুক্তিযোদ্ধে অবদানকারী সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সহ মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে সমুন্নত রাখতে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশবিরোধী অপশক্তির সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও দখলদার ইউনূস গংয়ের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে দৃপ্ত শপথের আহবান জানিয়েছেন।
ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ মালিক সহ সকল বক্তারা ষড়যন্ত্র ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা অবৈধ সরকারকে হটিয়ে দেশ ও দেশের মানুষদের বাঁচাতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়েছে। যাদের বাদী দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই মামলার বিষয়ে অবগত নয়। যে সকল ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে মামলা করা হয়েছে, তাদের অনেকেই জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছে। এ সকল মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার ব্যতীত এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পূর্ব গৃহীত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আবার, একই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের বেশ কিছু ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দেওয়া হলো। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী একই বিষয়ে দুইবার এই ধরনের মামলা হতে পারেনা।
এদিকে বাংলাদেশের মহাণ বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে গণতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টিকালচারেল, মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা, সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা সহ পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদের সভাপতিত্বে ও ওয়েলস যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য ওয়েলস যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ওয়েলস আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, নিউপোট আওয়ামী যুবলীগ এর সভাপতি শাহ শাফি কাদির, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম ইউকে নিউপোট এর সভাপতি শেখ আব্দুর রুউফ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সিতাব আলী, সাবেক ছাত্রনেতা রাসেল আহমদ, ইমরান মিয়া, ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল হক মনসুর ও সাধারন সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার শাওন, সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি যুক্তরাজ্য ওয়েলস যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ সকল বক্তারা বলেন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একসূত্রে গাঁথা, একটি অন্যটির পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা যাবে না। যে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মহান বিজয় অর্জন করেছে সেটার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমগ্র বাঙালি জাতির মুক্তির স্পিরিটকে ধারণ করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল অর্জন চির আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সমগ্র জাতি যে চেতনার শক্তিতে বলীয়ান হয়েছিল স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনা ও আদর্শ আজ সংকটের সম্মুখীন। বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতির পতাকা খামছে ধরেছে পুরনো শকুনেরা। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দমিত করার অপচেষ্টার মধ্য দিয়ে বাঙালির সম্মিলিত শক্তি ও সামর্থ্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। আজ বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, সংবিধান দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত দিবস অর্থাৎ জাতীয় শোক দিবস রাষ্ট্রীয় আচার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যে রণধ্বনি বাঙালি মায়ের বীর সন্তানদের দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার জন্য জীবন বাজি রাখতে নির্ভীক করে তুলেছিল সেই 'জয় বাংলা'-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হাইকোর্টের রায়ও স্থগিত করা হয়েছে। এ সকল হীন ও ঘৃণিত পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে তা নয়, এটা সুস্পষ্টভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ থেকে করা হচ্ছে। আজকের সভা থেকে ও
এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন