দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়েতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উড়োজাহাজটির ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাকি দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও অন্যান্যরা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সিউলে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কিম ই-বে ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।

 

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্দেশে ১৮১ যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। জেজু এয়ারের এই উড়োজাহাজে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিল

 

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে দিয়ে প্রবল গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেসময় উড়োজাহাজটির কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না।

কিছুক্ষণ ছুটে যাওয়ার পর রানওয়ের শেষ প্রান্তের একটি প্রাচীরে গিয়ে প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানে। এতে উড়োজাহাজের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাত্র দুই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। এক দমকল কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। প্লেনটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফিরছিল। এটি রানওয়েতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে।

 

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ বলেছে, অবতরণের সময় পাখির আঘাতের কারণে উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেজু এয়ার বলেছে, এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য জেজু এয়ারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে। উদ্বেগজনক এই দুর্ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

 

আর সিউলে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে জেজু এয়ারের সিইও কিম ই-বে বলেছেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। উড়োজাহাজটির দুর্ঘটনার কোনও রেকর্ড নেই। এছাড়া উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির প্রাথমিক কোনো লক্ষণও ছিল না।

 

সূত্র: বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন