আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমানটিকে দুর্ঘটনাক্রমে রাশিয়া থেকে গুলি করা হয়। রাশিয়ার কিছু লোক দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিল। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ গতকাল রবিবার এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মস্কোকে ‘দোষ’ স্বীকার করার আহ্বান জানান।
গত বুধবার ৬৭ আরোহী নিয়ে আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৮ জন প্রাণ হারান। বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের রাজধানী গ্রোজনি যাচ্ছিল। বিমানটির বেশির ভাগ যাত্রী আজারবাইজানের।
যাত্রীদের মধ্যে রাশিয়া, কাজাখস্তান ও কিরগিজিস্তানের নাগরিকও ছিলেন।
আলিয়েভ বলেন, দুর্ঘটনাবশত রাশিয়া বিমানটিকে আঘাত করেছিল। এখানে কোনো ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কথা উঠছে না। অতএব দোষ স্বীকার করে যথাসময়ে আজারবাইজানের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং জনগণকে এ ব্যাপারে অবহিত করা উচিত ছিল।
গতকাল রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আলিয়েভ বলেন, ‘আমাদের বিমানটি দুর্ঘটনাক্রমে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। দক্ষিণ রাশিয়ার শহর গ্রোজনির কাছে আসার সময় গুলি করা হয়েছিল।’
আলিয়েভ আরো বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, প্রথম তিন দিনে আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে শুধুমাত্র অযৌক্তিক কারণ শুনেছি। রাশিয়ার বিবৃতিতে বলেছিল, পাখির আঘাত বা কোনো ধরনের গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের জন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার সুস্পষ্ট প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি।
’
গত শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে একথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ভুলবশত যাত্রীবাহী ওই বিমানটি ভূপাতিত হয়। ক্রেমলিন জানায়, ঘটনার সময় গ্রোজনি, মোজদোক ও ভ্লাদিকাভাকাজে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা করছিল। তবে এই বিবৃতিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা বিমানটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এমন সরাসরি স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়নি।
এর আগে প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখে আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের পেছনে রাশিয়া দায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন