জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
ভারতে করোনাভাইরাসের তথ্য ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুল টেস্ট করে রিপোর্ট নেগেটিভ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদসংস্থা ডয়চে ভেলে।
সেখানে বলা হয়, ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ইতোমধ্যে প্রায় এক কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। এখনো দিনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতে অধিকাংশের ঠিকমতো করোনাভাইরাস পরীক্ষাই হয়নি। পরীক্ষা হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হওয়ার কথা
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সরকারি তথ্য ব্যবহার করে সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে অন্তত ৩৫ লাখ আক্রান্ত মানুষের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে তাদের সংক্রমণ হয়েছিল। এই ব্যক্তিদের করোনার চিকিৎসা হলেও করোনাভাইরাস রোগীর তালিকায় তারা স্থান পাননি। অর্থাৎ, সরকার এই রোগীদের করোনাভাইরাসের তালিকায় রেখে সংখ্যা বাড়াতে চায়নি।
মূলত দুইটি প্রক্রিয়ায় ভারতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে। আর সেখানেই রয়ে গিয়েছে সর্ষের মধ্যে ভূত। পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হচ্ছে। প্রথম যখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, তখন দেশজুড়ে শুধুমাত্র পিসিআর টেস্টই হতো। চিকিৎসকদের বক্তব্য, পিসিআর টেস্টে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য নির্ভুল আসে। প্রথম দিকে ১০০% ক্ষেত্রেই পিসিআর টেস্ট করা হত।
তবে যতদিন গিয়েছে, সংক্রমণ যত বেড়েছে, ততই বিভিন্ন রাজ্য করোনাভাইরাসের সংখ্যা কমানোর জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে শুরু করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যার রিপোর্ট নির্ভুল নয়। তথ্য বলছে, তুল্যমূল্য বিচারে পিসিআর টেস্টে অ্যান্টিজেন টেস্টের চেয়ে ২.৫% থেকে ৩.৫% বেশি করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলছেন, শুধুমাত্র দিল্লিতে পিসিআর টেস্টে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে ১৪%। সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে ৪%।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতে পিসিআর টেস্ট কমতে কমতে ৬০%এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়ে গিয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের। এই পাঁচ কোটি মানুষের অধিকাংশের অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনাভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে, তাদের করোনাভাইরাস “পজিটিভ” ছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন