‘প্রিয়াঙ্কার গালের মতো’ রাস্তা বানাতে চেয়ে বিতর্কের মুখে বিজেপি নেতা

‘প্রিয়াঙ্কার গালের মতো’ রাস্তা বানাতে চান বলে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে বিজেপি নেতা। রবিবার দিল্লির কালকাজি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরি ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “যদি আমি জিততে পারি, তবে এই বিধানসভায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গালের মতো মসৃণ রাস্তা তৈরি করব!”

বিধুরির এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে কংগ্রেস পার্টি। বিজেপির বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে তারা।

 

কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, “এই মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। নারীদের সম্পর্কে বিধুরির যে ঘৃণ্য মানসিকতা রয়েছে, এ মন্তব্যে তা-ই প্রকাশ পেয়েছে। বিধুরি আগেও এক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। এজন্য তিনি কোনও শাস্তি পাননি।

এটাই বিজেপির আসল মুখ।”

 

এনডিটিভি জানায়, আম আদমি পার্টি (আপ) এর এমপি সঞ্জয় সিংও বিধুরির মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছেন। এক্সে এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দিল্লির নারীরা বিজেপির নেতৃত্বে নিরাপদ বোধ করবেন কিনা।

সঞ্জয় লেখেন, “দেখুন ইনি (বিধুরি) হচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী।

তার ভাষা শুনুন। এটাই হচ্ছে নারীদের প্রতি বিজেপির সম্মান। এরকম নেতার হাতে কী দিল্লির নারীদের সম্মান সুরক্ষিত থাকতে পারে?”

 

তবে এমন আক্রমণের মুখেও বিষয়টি নিয়ে হার মানেনি বিজেপির সাবেক সাংসদ রমেশ বিধুরি। তার মন্তব্য যে আপত্তিকর নয়, সেই যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। কারণ, লালুও একবার রাস্তার উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে হেমা মালিনীর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন।

লালু প্রায় একইভাবে বলেছিলেন, তিনি বিহারে অভিনেত্রী হেমা মালিনীর গালের মতো মসৃণ রাস্তা বানাতে চান।

 

ঘটনার রাজনৈতিক বিতর্কে বিধুরির জবাব, “হেমা মালিনীকে যখন একথা বলা হয়েছিল, তখন কংগ্রেসের খারাপ লাগেনি? তিনি (হেমা) কি নারী নন? যখন লালু কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন ৷ তখন কংগ্রেস চুপ ছিল ৷ দুইজন মানুষ ভুল করলে উভয়কেই তা শুধরাতে হবে। কংগ্রেস তাদের ভুল শুধরালে আমরাও শুধরাব।”

উল্লেখ্য, হেমা মালিনী বর্তমানে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ। আর লালু প্রসাদের দল কংগ্রেসের সঙ্গেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় রয়েছে।

রোববার বিধুরির মন্তব্যের জেরে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য তিনি অবশ্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন। নিজের কথার পক্ষে যুক্তি দিলেও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, “কাউকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তারপরও আমার মন্তব্যে কেউ আহত হয়ে থাকলে আমি তার জন্য দুঃখিত ৷”

 

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন বিধুরি। ২০২৩ সালে বিজেপি সাংসদ হিসাবে তিনি তৎকালীন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির উদ্দেশে লোকসভার মধ্যেই আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। বিধুরির সেই মন্তব্য ক্যামেরায় ধরা পড়ার পরেই নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তার পর লোকসভা ভোটে বিধুরিকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। দিল্লির বিধানসভা ভোটে অবশ্য দল তাকে লড়তে পাঠিয়েছে। বিধুরির বিরুদ্ধে আপের প্রার্থী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন