নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি ইউনিয়নের শেষের ও দেবপাড়া ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী রুস্তমপুর টোলপ্লাজার দক্ষিণ পাশের হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নবীগঞ্জ-২, ৩১/১১ এর উত্তর পাশে অবস্থিত শাখা বরাক নদী। এই নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি ব্রিজের নিচে দেবপাড়া ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র ভীটে মাটিহীন মৃত মোঃ আরজান উল্লার পুত্র মোঃ আলবর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবসা করে আছেন। তিনির জন্ম নিবন্ধন কার্ডে ১৫/১২/১৯৫৩ ইংরেজিতে জন্ম হলে বর্তমান বয়স হলো ৭২ বছর। তিনি কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি সরকারী বা বেসরকারী কোন অনুধান, বয়স্ক ভাতা, রিলিপের চাল, ডাল সহ সকল প্রকার থেকে বঞ্চিত। ভূমিহীন হিসাবে একটি দরখাস্ত নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ২ বছর পূর্বে দিলেও তিনির নাম ভূমিহীনদের তালিকায় স্থান পায় নি! তিনির এক স্ত্রী মোছা: রোকেয়া বেগম যার জন্ম নিবন্ধন সূত্রে ১০/১২/১৯৬৬ সালে জন্ম। এতে তার বর্তমান বয়স ৬০ বছর। তিনিও সকল প্রকার সরকারি, বেসরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত। তিনি'র ৭ছেলে মেয়ে ও ৩ মেয়ে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তিনি'র ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও এক স্ত্রীকে নিয়ে বসবসা করছেন।
সোমবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল বড় শাখা বরাক নদীর উপর যে সেতুটি রয়েছে সেই সেতুর পশ্চিম পাশে বিশ্ব রোডের ৬ লাইনের জন্য ব্রীজের নির্মান কাজ চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্রাচীনকালে এই শাখা বরাক নদী দিয়ে অগনতি ব্যবসা বানিজ্য যাতায়াত করতো। প্রবল খরস্রোতে এই বিশাল নদীটি আজ খালে পরিনত হয়েছে। তথাপি বর্তমানে বিশ্বরোডের কাজ চলছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের শেষ আংশ ও ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের শেষ আংশের মধ্যেবর্তী হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নবীগঞ্জ-২, ৩১/১১ এর সামনের ব্রীজটি শাখা বরাক নদী উপর দিয়ে কাজ চলার কারণে ঐ প্রাচীনকালের শাখা বরাক নদীটির দৈর্ঘ অনেকটা ভেসে ওঠেছে। তাই এই শাখা বরাক নদী রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ ভূমি দখলবাজরা এই শাখা বরাক নদীটি বিলিন করে এখন খালে পরিনত করেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন