জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় একটি মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে একটি ইন্টারনাল অডিটও করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুপারের নাম মাওলানা মোহাম্মদ জমিল আহমদ। তিনি উপজেলার হাজী তৈয়ব আলী বালিকা দাখিল মাদ্রাসা সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালে সুপার হিসেবে নিয়োগ পান মাওলানা জমিল। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। ২৩ সালে মাদরাসার বাৎসরিক হিসাব-নিকাশেও ব্যাপক গড়মিল ধরা পড়ে। এতে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ বাহার, আবু হানিফ ও মো. মোছলেহ কাইয়ুমের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ৩ সদস্যের অডিট কমিটি। ২৪ সালের ১৯ নভেম্বর ওই কমিটি অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট প্রদান করে। এতে তারা ভর্তি ও সেশন ফি, শিক্ষার্থী বেতন, পরীক্ষার ফি ইত্যাদি আয়ের রশিদের হিসাবের সাথে ৩৯ হাজার ৪২৫ টাকার গড়মিলের বিষয়টি তুলে ধরেন।
অডিট রিপোর্টে আরও জানানো হয়, সুপার বিভিন্ন মাসে প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিয়েছেন- ৪৮ হাজার ৮৮৮টাকা এবং ঋণ পরিশোধ দেখানো হয়েছে ৬৬ হাজার টাকা। ঋণ গ্রহণের চেয়ে ঋণ পরিশোধ ১৭ হাজার ১১২ টাকা বেশী। এছাড়া নিয়মিত ব্যাংকে লেনদেন না করে হাতে রেখে আয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিধি সম্মত নয়। ওই অডিট রিপোর্ট অনুমোদন করে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে অডিট রিপোর্ট মেনে নিয়ে মাওলানা জমিল হিসেবের ৩৯ হাজার ৪২৫ টাকা মাদরাসায় প্রদান করেন।
এরআগে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কানাডা প্রবাসী মুশতাক আহমদ ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত একটি চাটার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম দ্বারা অডিট করানোর জন্য তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম বরাবরে আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে মুশতাক আহমদ বলেন, 'অভিযোগের আলোকে গঠিত অডিট রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রহণ করেছেন। পরে আমি একটি চাটার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম দ্বারা অডিট করানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি। এছাড়া অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেটি বাস্তবায়ন করবে।
তবে আর্থিক অনিয়মের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ জমিল আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, এটা সঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুর্নীতির প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃর্তপক্ষকে একটি লিখিত বক্তব্য জানিয়েছি।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন