জয়ের জন্য ১২ বলে ২৩ রান দরকার ছিল চিটাগং কিংসের। তখনও ভাগ্যের পেন্ডুলাম ঝুলছিল দুদলের মাঝামাঝিতে। কিন্তু ১৯তম ওভারেই সেই পেন্ডুলাম এককভাবে নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিলো চিটাগং। যার প্রধান নায়ক শামীম হোসেন। বাঁহাতি ব্যাটারের ক্যামিওতে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের কবজায় নিলো চিটাগং। ঢাকা ক্যাপিটালসের হাত থেকে ফসকে গেলো জয়।
মোসাদ্দেক হোসেনের করা ১৯তম ওভারে ২ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়ে শামীম তুললেন ১৮ রান। ফলে মুকিদুল ইসলামের করা শেষ ওভারে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ৫ রান। সেই রান তুলতে বন্দরনগরীর দলটির খেলতে হয়েছে ৩ বল। অর্থাৎ ৩ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং। অন্যদিকে ৫ ম্যাচেই সবগুলোতেই হারলো ঢাকা।
শামীমের আগে চিটাগংয়ের জয়ের ভীত নির্মাণ করে দিয়েছেন ৩ ব্যাটার। ৩৩ বলে ৫৫ রানের (৭ চার ও ৩ ছক্কায়) ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খান। তিনে নামা ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের ৩২ বলে ৩৯ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ২২ বলে ৩৩ রান চিটাগংকে জয় পেতে সহায়তা করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে ঢাকা। ক্যামিও দেখিয়ে ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির রহমান। ৯ ছক্কা আর ৩ চার হাঁকান মারকুটে এই ব্যাটার।
ঢাকাকে লড়াই করার মতো পুুঁজি জোগাড় করে দিতে সাব্বিরের আগে বড় অবদান রেখেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৪৮ বলে ৫৪ রানের (৪ চার ২ ছক্কা) দারুণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার।
সাব্বিবের সঙ্গে অপরাজিত থাকা ফরমানুল্লাহ করেছেন ৯ বলে ১০ রান। বাকিদের কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি আউট হওয়া ৪ ব্যাটার- জেসন রয় (৪ বলে ১), স্টিফেন এসকিনাজি (১৪ বলে ৫), শাহাদাত হোসেন দীপু (৯ বলে ১০) ও থিসারা পেরেরা (২ বলে ১)।
চিটাগং কিংসের হয়ে বল হাতে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ। ঢাকার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান, ফরমানুল্লাহ ও মোসাদ্দেক।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন