দেশে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ নওশের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।
এই ভাইরাসের পাশাপাশি তার শরীরে আরো একটি ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, কভিড-১৯ মহামারির পর চীনে বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর সংক্রমণ, যা আরেক স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি, দেশটিতে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এমনকি কভিড-১৯ এর মতো একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে।
প্রতিবেদন মতে, এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সিডিসির তথ্যানুসারে, এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নিচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়।
এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?
এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড:
সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।
এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে- ১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ। ২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা। ৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন