জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
পৌষের শেষদিকে এসে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন সাধারণ মানুষ। এবার শীতকালীন সবজির ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তাই মৌসুমি সবজিতে নগরীর প্রতিটি বাজার সয়লাব।
গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এ মুহূর্তে বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন পাইকারি ও খুচরা দোকানিরা। আগের তুলনায় দাম কমতে থাকায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। নিম্ন বা মধ্যবিত্ত মানুষ এখন ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারছেন।
মাস খানেক আগেও বাজারে সবজির দাম ছিল খুবই চড়া। অধিকাংশ সবজি বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। যা এখন ২০ থেকে ৮০ টাকায় নেমে এসেছে। সিলেটের বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম ওঠানামা করলেও স্থিতিশীল রয়েছে বেশিরভাগের দাম।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে মান ও স্থান ভেদে প্রতি কেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম- ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু- ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁয়াজের ডাটা বা পেঁয়াজে ডুগি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফরাস ও শিমের বিচি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, শালগম ২০ টাকায়, লাউ আকারভেদে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর প্রতি কেজি গাজর ৪০-৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৭০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ গ্রাম ২০ টাকা, লেবুর হালি ১০-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির মান ও স্থান ভেদে দাম ভিন্ন। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান হকারদের কাছে সবচেয়ে কম দামে সবজি ক্রয় করতে পারছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু নগরীর অন্যান্য এলাকার বাজারগুলোতে দাম একটু বেশি।
বিশেষ করে আম্বরখানা পয়েন্টে পসরা সাজিয়ে বসা সবজি ব্যবসায়ীরা একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন। কোর্ট পয়েন্টের তুলনায় আম্বরখানায় সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
শনিবার রাতে কোর্ট পয়েন্টে বাজার করতে আসা রাজু আহমেদ বলেন, এখন সবজির দাম অনেকটা কমেছে। চাহিদা অনুযায়ী বাজার করতে পারছি। আগে ২০০ টাকায় ২ কেজি সবজিও কিনতে পারতাম না। আজ সে টাকায় ৬ কেজি সবজি কিনেছি।
আম্বরখানা এলাকায় বাজার করছিলেন বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ নুরুল হক। তিনি বলেন, দাম কি আর কমবে। আমার ৭২ বছর বয়স। বয়স যত বাড়ছে জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। তবে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন সবজির দাম কম।
সিলেটের বৃহত্তর বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম মদিনা মার্কেটে বাজার করতে এসেছেন এবাদুল ইসলাম। তার বাড়ি বন কলাপাড়ায়। তিনি বলেন, আমি মধ্যবিত্ত মানুষ। এতদিন সবজির চড়া মূল্যের কারনে হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন দাম কমায় ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারছি। বছরের বাকি সময় যদি দাম এমন থাকতো তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হতো।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন