রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে খুলনাকে হারিয়ে সাতে সাত রংপুরের

শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৮। ১৯তম ওভারে আকিফ জাভেদ প্রথম বলে ডট দেন। পরের বলে বোল্ড করে দেন মাহিদুল অঙ্কনকে (১২ বলে ১৫)। পরের দুই বলে দুই রান দেন আকিফ। পঞ্চম বলে ইমরুল কায়েস বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খুলনার জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু শেষ বলে ইমরুলকে আউট করে দেন আকিফ।

শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১২ রান। ওই ওভারেই যেন পুরো ম্যাচের উত্তেজনা ভর করে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রথম দুই বলে দেন ডট। তৃতীয় বলে ওয়াইড। পরের তিন বলে তিন উইকেট।

 

ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ (৭ বলে ৪)। সাইফ হাসান সরাসরি থ্রোতে ভেঙে দেন স্টাম্প। পরের বলে নাসুম আহমেদ রানআউট। পঞ্চম বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আবু হায়দার। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন সাইফউদ্দিন।

রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। পাঁচ ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় হার।

 

লক্ষ্য ১৮৭। রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই ছিল খুলনার। দারউইশ রসুলি ১৫ বলে ১৭ করে ফিরলেও এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাইম শেখ দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিতে থাকেন। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫৭ রান তোলে খুলনা।

মিরাজ-নাইম ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। মিরাজকে আউট করে জুটিটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ২৪ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কা হাঁকান মিরাজ।

শেখ মেহেদীকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাইম শেখ। ৪১ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৯ রানের ঝড় তুলে মেহেদির শিকার হন আফিফ হোসেনও। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর আর কেউ হাল ধরতে পারেননি।

 

আকিফ জাভেদ ৩টি আর শেখ মেহেদী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে ৭০ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দুই পাকিস্তানি খুশদিল শাহ আর ইফতিখার আহমেদ গড়লেন শতরানের জুটি। যে জুটিতে বড় অবদান খুশদিলের। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে রংপুর রাইডার্স।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না রংপুর রাইডার্সের। ৮ বলে ১৩ রান করা স্টিভেন টেলরকে বোল্ড করেন আবু হায়দার রনি। ১১ বলে ৭ করে সাইফ হাসান বোল্ড হন হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে।

 

৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৯ রান তোলে রংপুর। ওপেনার তৌফিক খান একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। কিন্তু ৩০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৬ করে আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে মারকুটে এক জুটি গড়ে তোলেন দুই পাকিস্তানি খুশদিল শাহ আর ইফতিখার আহমেদ। ১৫তম ওভারের প্রথম ৪ বলে নাসুম আহমেদকে চার ছক্কা হাঁকান খুশদিল। ২২ বলে ফিফটি পূরণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষ পর্যন্ত ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ইফতিখারকে ফিরিয়ে ৫৭ এল ১১৩ রানের বিশাল এই জুটিটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ইফতিখার ৩৬ বলে করেন ৪৩। খুশদিল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৩৫ বলে তার ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কার মার।

 

খুলনার আবু হায়দার রনি আর হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে উইকেট।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন