বিশ্বের বৃহৎ সংগঠন গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার অভিষেক ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা

হাকিকুল ইসলাম খোকন//

সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নেওয়া দরকার
.অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেছেন, প্রবাসীরা আমাদের সম্পদ। তারা ভবিষ্যতে মা, মাটির টানে দেশে আসবেন। গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একটি শক্তিশালী অবস্থান আছে। এ অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য ভালো গবেষক, পরিকল্পনাবিদ, ব্যবসায়ী এবং প্রকৌশলী তৈরি করা উচিত। এছাড়া এ সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ও বয়স্কদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। আমি আশা রাখি, এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা সামনে রেখে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেট কমিটি কাজ করবে। গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির অভিষেক ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সৌহার্দ্য-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় শাখার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লে. কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর-এর সভাপতিত্বে গত রোববার ,১২ জানুয়ারি ২০২৫,সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট নগরীর দরগাহ গেইটস্থ গ্রান্ড মোস্তফা হোটেল আবাবিল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক হেলাল নির্ঝর ও কবি মামুন সুলতান-এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ভ্রমণ সাহিত্যিক লেখক ড. মঈনুস সুলতান, চ্যানেল এস (ইউকে)-এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবী ডা. আলাউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ লায়ন গভর্নর ডা. আজিজুর রহমান, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তাইসির মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট  কাপ্তান হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক লেখক ও সংগঠকআব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল,গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন কেন্দীয় সহ সভাপতি ও ইতালি শাখার প্রেসিডেন্ট অলি উদ্দিন শামীম, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন স্পেন শাখার প্রেসিডেন্ট আমিন আলী রফিক, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির রহমান, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া শাখার প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাসেল আহমদ, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন মালয়েশিয়া শাখার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জাকারিয়া, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন পর্তুগাল শাখার প্রতিনিধি শহীদুজ্জামান চৌধুরী।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির অভিষেক ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সৌহার্দ্য-২০২৫ এর আহ্বায়ক বদরুল ইসলাম চৌধুরী বদর। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আব্দুল মুকিত আজাদ। সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে নৈশভোজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রিপন আহমদের সঞ্চালনায় অভিনয় শিল্পী হিসেবে ছিলেন অভিনেতা বেলাল আহমদ মুরাদ ও আব্দুল মুকিত অপি, সংগীত পরিবেশন করেন ফকির মাহমুদা, সুপ্রিয়া দে, সায়েম আহমদ, রিপন দে, সন্তোষ দাস ও অনুপ সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে বরণ করা হয় এবং প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভ্রমণ সাহিত্যিক লেখক ড. মঈনুস সুলতান বলেন, আমি ১৬টি দেশে কাজ করেছি। একটি সংগঠন গঠন করতে হলে অনেক পরিশ্রম ও সাধনার প্রয়োজন। আমি নিজেও কয়েকটি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, কোনো কোনো সময় নেতৃত্বও দিতে হয়েছে। গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সমাজসেবামূলক কাজ সম্পর্কে আমার জানা আছে। আমি আশা করবো, এই সংগঠনের একটি অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগীয় কমিটি কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চ্যানেল এস (ইউকে)-এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি বলেন, গ্রামে-গঞ্জে কিংবা দেশীয় অনেক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিলেটিদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সেইধরনের কোনো সংগঠন ছিল না। গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা গ্লোবালি কাজ করছি। এ সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে লে. কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর বলেন, আজকে যারা অনুষ্ঠানে এসেছেন, তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। যেই লক্ষ্যে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই লক্ষ্যকেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে সিলেট বিভাগীয় কমিটি। এছাড়া সিলেটের যাবতীয় সমস্যা সমাধানেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া চেষ্টা করবে।
সভায় সরকারের কাছে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে নিম্ন লিখিত দাবিগুলো তুলে ধরা হয়:
১. প্রবাসী ও তাদের সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. প্রবাসী পেনশন স্কীম চালু করতে হবে।
৩. প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আসা কর্মীদের পুনর্বাসন করতে হবে।
৪. প্রবাসীদের মৃতদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. প্রবাসী নারী শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।
৬. দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী প্রবাসীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. দ্বৈত নাগরিক আইন বহাল রাখতে হবে।
৮. এম সি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে।
৯. ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনে বিরতিহীন ট্রেন চালু করতে হবে এবং আখাউড়া থেকে সিলেট রেল লাইন আধুনিকাকরণ করতে হবে।
১০. সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করতে হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন