সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা
প্রত্যেক দেশেরই একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন থাকে যা তাদের খাদ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে পিঠা। আমাদের জন্য পিঠা শুধু একটি খাবারই নয়, স্মৃতির ভাণ্ডারও বটে। বাংলার নিজস্ব আদিম আভিজাত্যপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য পিঠা। শীত আসে সেই সঙ্গে হাজির হয় পিঠা উৎসব। এ সময় টাটকা চালে তৈরি করা হয় বাহারি পিঠা পুলি। পিঠার সেই মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে মূলত ঋতুর প্রথম ভাগ থেকে। জমকালো আয়োজনে মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে পিঠা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল মাদীনাহ ঢাকা।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ছাতা মসজিদ রোড এলাকায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল মাদীনাহ, ঢাকা মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে আয়োজন করে উৎসবমুখর পিঠা অনুষ্ঠানের। এতে দুই হাজারেরও বেশি হাতের বানানো বিভিন্ন রকমের পিঠা দেখা যায়।
পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের চিতই পিঠা, পাটি শাপটা, দুধপিঠা, তিলের পিঠা, বিস্কুটপিঠা, চড়িপিঠা, সমুচাপিঠা, রুটিপিঠা, তিলপুলি, দুধকুলি, পাটিসাপটা, সেমাইপিঠা, গোলপিঠা, ফুলপিঠা, লাভপিঠা, মোরকসংশার, পাকানপিঠা, মুঠাপিঠা, সাজপিঠা, ভাপাপিঠা, ছিটপিঠা, তারাপিঠা, চুকুই পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, বাদামপিঠা, মুখশালাপিঠা, চাটিপিঠা, দুধচিতই, বড়া, নারিকেলপিঠা, জামাইপিঠা, তিলপুলি, লবনাঙ্গ লতিকা, জবদানা, ভাপাপুলি, সিদ্ধ পুলি, নিমকী, কেক, পুডিং, পাতাপিঠাসহ দুই হাজারেরও বেশি হাতের বানানো পিঠা তৈরি করে।
জামিয়াতুল মাদীনাহ ঢাকার মুহতামিম মাওলানা মুনিরুজ্জামান (হাফি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হাজী আলী আজগর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জামিয়াতুল মাদীনাহ ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপ্যাল মুফতি মুমিন বিল্লাহ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জামিয়াতুল মাদীনাহ ঢাকার শিক্ষক ও উস্তাদগণ এবং সম্মানিত অভিভাবকরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইংরেজিতে বক্তব্য রাখেন অত্র মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র সাকিব আল হাসান।
অনুষ্ঠানে বক্তরা আধুনিক মাদরাসা শিক্ষার উপর গুরুত্বের আরোপ করেন এবং দেশের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন