আমরা অনেকেই খুব সুন্দর করে কথা বলি - কথা বলা প্রসঙ্গে আজকে আমার নসীহত

সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলাও একটি যোগ‍্যতা


সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সায়েম।।


মহাগ্রন্থ কোরআনুল কারিমে কথা বলার ব‍্যাপারে বেশ কিছু আয়াত নাযিল করা হয়েছে। আমি আজ আমার, আপনার সবার জন্য  কোরআনের আলোকে কিছু নসীহত পেশ করছি।


# প্রথমত যেখান থেকে শুরু করতে চাই তা হলো সূরা বাকারার ৮৩ নাম্বার  আয়াত, যেখানে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেন "তোমরা মানুষের সাথে উত্তম ভাষায় কথা বলো"এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম মানুষের সাথে কথা বলার সময় সংযত, শালীন ও উত্তম ভাষায় কথা বলতে হবে। 


# দ্বিতীয়ত সূরা আত্ তাওবার ১১৯ নাম্বার আয়াত, যেখানে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেন "হে ঈমানদার ব‍্যাক্তিরা, তোমরা  আল্লাহ্ তাহালাকে ভয় করো এবং সর্বদা সত‍্যবাদীদের সাথে থেকো"এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা সর্বদা সবসময়ই সত‍্যবাদীদের সাথে থাকবো কখনো মিথ‍্যাবাদীদের সাথে থাকবো না।


# তৃতীয়ত  সূরা আল মোমেনুনের ৩ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে "অর্থহীন বিষয় থেকে বা অযথা বিষয় থেকে বিমুখ থাকা" এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বা অর্থহীন কথা থেকে বেঁচে থাকবো। অনর্থক কথা বলবো না।


# চতুর্থত সূরা আল আহযাবের ৭০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে "হে ঈমানদার ব‍্যাক্তিরা, তোমারা আল্লাহ্ তাহালাকে ভয় করো এবং সত্য কথা বলো" এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা সত্য কথা বলবো, কখনো মিথ্যা কথা বলবো না।


# পঞ্চমত  সূরা ক্বাফের ১৮ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে "একটি ক্ষুদ্র শব্দও মানুষ উচ্চারণ করে না, যা সংরক্ষণ করার জন্য একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার পাশে নিয়োজিত থাকে না" এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা হিসাব করে কথা বলবো কারণ আমাদের প্রত‍্যেকটি শব্দ ফেরেশতাদের মাধ্যমে সংরক্ষিত  হচ্ছে।


# ষষ্ঠত সূরা যারিয়াতের ১০ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত হয়েছে  "ধ্বংস হোক, যারা শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কথা বলে" এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম আমরা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কোন কথা বলবো না। যতোক্ষন পযর্ন্ত কোন কথা সম্পর্কে নিশ্চিত না হবো।


# সপ্তমত সূরা লুকমানের ১৯ নাম্বার আয়াত ও সূরা হুজরাতের ২-৩ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে "কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলা" এই আয়াতগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারলাম কথা বলার সময় কন্ঠস্বর নিচু রাখতে হবে।


# অষ্টমত সূরা লুকমানের ১৯ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত হয়েছে "গাধার মতো কর্কশ স্বরে কথা না বলা" এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম গাধার মতো কর্কশ স্বরে কথা বলবোনা।


# নবমত সূরা আল- ফুরকানের ৬৩ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত হয়েছে "মূর্খ ও অজ্ঞদের সাথে কথা বলার সময় সাধ‍্যমতো এড়িয়ে চলা" এই আয়াত থেকে বুঝতে পারলাম কথা বলার সময় মূর্খ ও অজ্ঞদের সাথে তর্ক করা যাবে না বরং সাধ‍্যমতো এড়িয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও আরো অসংখ্য আয়াত বর্ণিত হয়েছে কথা বলা প্রসঙ্গে। তাই আসুন আমরা কোরআনে বর্ণিত আয়াতগুলো মেনে চলি এবং কথা বলা সম্পর্কে আরও সচেতন হই।
ওমা তৌফিকি ইল্লা বিল্লাহ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন