যুদ্ধবিরতির পর গাজার ‘দায়িত্ব’ নিতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ : আব্বাস

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর প্রথম বিবৃতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।  ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার ‘পূর্ণ দায়িত্ব’ গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের বৃহত্তম শরিক ফাতাহর শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রেসিডেন্সি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আব্বাসের নির্দেশে ফিলিস্তিনি সরকার গাজার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

’ এর মধ্যে থাকবে বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন, মৌলিক পরিষেবা প্রদান, ক্রসিং ব্যবস্থাপনা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠন।

 

ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে আব্বাস সরকার ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার’ আহবান পুনর্ব্যক্ত করেছে।


 

 

গাজা উপত্যকায় এক সময় ফাতাহ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সেখানে হামাস জয়ী হয়।

তারপর ২০০৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই ফাতাহকে উপত্যকা থেকে বিদায় করে হামাস। বস্তুত ২০০৬ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি গাজায়। ফলে, গত প্রায় ১৯ বছর ধরে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। বর্তমানে হামাস এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ উভয়ের ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করার বাইরে যুদ্ধোত্তর শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ইসরায়েলের কোনো সুনির্দিষ্ট অবস্থান নেই।

 

ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরাইল।  শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি)  ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা এই চুক্তি অনুমোদন করেছে।  আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হবে। চুক্তির শর্ত অনুসারে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের স্থায়ীত্ব হবে অন্তত ৪২ দিন। প্রয়োজনে মেয়াদ আরো বাড়তে পারে।

 

১৫ মাসের ভয়াবহ এই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছে ৪৬ হাজার ৭ শতাধিক এবং আহত হয়েছে আরও এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

সূত্র : আলজাজিরা। 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন