মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হতেই ৫৩৮ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার এবং আরও কয়েকশ মানুষকে নির্বাসিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেভিট বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ৫৩৮ জন ‘অবৈধ অভিবাসী অপরাধীকে’ গ্রেফতার করেছে। আরও কয়েকশ মানুষকে সামরিক প্লেনে করে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাসের বৃহত্তম নির্বাসন অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ সম্পর্কিত একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
তবে নিউয়ার্ক শহরের মেয়র রাস জে বারাকা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমসের (আইসিই) এজেন্টরা একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নথিপত্রবিহীন বাসিন্দাদের এবং নাগরিকদের গ্রেফতার করেছে, যা আদালতের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেছেন, এই অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাবেক মার্কিন সেনাও রয়েছেন। এটি একটি ‘মারাত্মক অসাংবিধানিক’ কাজ।
আইসিই জানিয়েছে, মোট ৫৩৮ জনকে গ্রেফতার এবং ৩৭৩ জনের বিরুদ্ধে ডিটেনশন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট সিনেটর কোরি বুকার ও অ্যান্ডি কিম বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের কমিউনিটিতে ভয় সৃষ্টি করে। আমাদের ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থার জন্য সমাধান প্রয়োজন, ভয়ের রাজনীতি নয়।
এর আগে, ট্রাম্প দায়িত্বগ্রহণের প্রথম দিনেই দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ জারি করেছেন এবং অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নীতি ফের কার্যকর করারও পরিকল্পনা করছেন, যার ফলে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাওয়া ব্যক্তিদের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতেই থাকতে হবে।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, অবৈধ অভিবাসীরা মার্কিনিদের ‘রক্ত দূষিত’ করছে। অনেকের মতে, তার এ ধরনের মন্তব্য নাৎসি জার্মানির ভাষণের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন