সাবেক এমপিদের শুল্কমুক্ত ২৪ গাড়ির নিলাম আজ

সাবেক এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ২৪টি বিলাসবহুল গাড়ির নিলাম শুরু হচ্ছে। আজ রবিবার অনলাইনে এসব বিলাসবহুল গাড়ির নিলাম হবে। ১২তম সংসদ বিলুপ্তির পর এসব গাড়ির শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার করে এনবিআর। ফলে নিলামে আট গুণ বেশি শুল্ক আদায়ের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের আশা করছে কাস্টম হাউস।

 


 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫১ জন সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানিতে লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) খোলেন। এর মধ্যে গাড়ি এনে ছাড় করান ছয়জন। আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমদানি করা এসব গাড়ির শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পর ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সাংসদ এ কে আজাদ শুল্ক-কর দিয়ে ১ কোটি ৩ লাখ টাকার একটি গাড়ি ৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় ছাড় করান।

বাকি গাড়ির বিষয়ে দুইদফা নোটিশ জারির পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

 


 

এর পর এসব গাড়ি নিলামের ঘোষণা দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়িগুলোর মধ্যে প্রথমধাপে ২৪টি গাড়ি অনলাইন নিলামে তোলা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সরাসরি এসব গাড়ি দেখতে পারবেন ক্রেতারা।

 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দর থেকে আমাদের এমপি সুবিধায় আনা বেশ কিছু গাড়ি আমদানির পর খালাস করা হয়নি। ২৪টি গাড়ির সবগুলোই সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়ি। বিভিন্ন ক্যাটাগরির গাড়ি আছে। সবগুলোই উচ্চ সিসির গাড়ি।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিলাসবহুল এসব গাড়ি যাতে নিলাম প্রক্রিয়ায় কারণে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

 

 

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘যারা এটা ব্যবসা করার জন্য নেবেন, তারা এটার দাম যদি ১৪ কোটি টাকা হয়, তবে কেউ নিশ্চয় সেটি ১৪ কোটি দিয়ে কিনতে চাইবেন না। এ ক্ষেত্রে অনেকবেশি লাভের চিন্তা করা যাবে না। আবার কাস্টম যদি ধরে রাখে যে ভিত্তিমূল্যেই নিতে হবে-সেটাও ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে একটা যৌক্তিক মার্কিং রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকল্স ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটা ছোট পরামর্শ, নিলাম প্রক্রিয়ায় গেলে দীর্ঘ মেয়াদি একটা প্রক্রিয়ায় যেতে হয়। যেমন কারনেট, কারনেট প্রক্রিয়ার গাড়িগুলো শেষ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এসব গাড়ি আগের মতো নিলামে নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতায় গেলে গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মতামত দিতে চাই, এইগুলো যাতে কোনোভাবেই দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলা না হয়।’

কাস্টম হাউসের তথ্যমতে, সবচেয়ে দামি গাড়িটি আনেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক। শুল্কসহ যেটির দাম প্রায় পৌনে নয় কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দামের গাড়ি এনেছেন ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক এমপি এবিএম আনিসুজ্জামান।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন