ইসরায়েলিদের গ্রিনল্যান্ডে সরিয়ে নিন: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজাকে খালি করতে চান। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তার এমন প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ নিয়ে মুখ খুললেন।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি স্কাই নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তরের পরিবর্তে ইসরায়েলিদের গ্রিনল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।

 

তিনি বলেন, আমার পরামর্শ কিছুটা ভিন্ন। ফিলিস্তিনিদের পরিবর্তে ইসরায়েলিদের স্থানান্তর করুন। তাদের গ্রিনল্যান্ডে নিয়ে যান যেন তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে।

গ্রিনল্যান্ড নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রহের কমতি নেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেও ট্রাম্প একাধিকবার গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন যে, গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা আমেরিকার সঙ্গে থাকতে চায়।

 

স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মার্কিন এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয়, আমরা এটা (গ্রিনল্যান্ড) পেতে যাচ্ছি। সেখানকার ৫৭ হাজার বাসিন্দা আমাদের সঙ্গে থাকতে চান। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ পাবে বলেই তার বিশ্বাস। গ্রিনল্যান্ডকে কিনে নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত তাকে খোঁচা দিয়েই গ্রিনল্যান্ডে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন আব্বাস আরাঘচি।

স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে আরাঘচি বলেন, ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের কারণে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে তারা এখনও উঠে দাঁড়াতে সক্ষম।

তিনি বলেন, হামাস এবং হিজবুল্লাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে একই সময়ে তারা নিজেদের পুনরায় প্রতিষ্ঠা করছে। তিনি বলেন, এটা একটা আদর্শ যা সব সময়ই থাকবে।

 

গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ানের ফ্লাইটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমি মিশরকে আহ্বান করছি গাজা থেকে লোকজনকে আশ্রয় দেবেন। আপনারা সম্ভবত ১৫ লাখ মানুষের কথা বলছেন। আমরা কেবল পুরো জিনিসটাকে পরিষ্কার করে বলি। আপনারা জানেন, এখানে সব শেষ।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সফলভাবে গ্রহণ করার জন্য জর্ডানের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিনি জর্ডানের রাজাকে বলেন, আমি চাই আপনারা আরও বেশি ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেবেন। কারণ আমি এখন পুরো গাজা উপত্যকার দিকে তাকিয়ে আছি, সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

 

 

তবে তার এমন প্রস্তাবকে ভালো ভাবে নেয়নি ফিলিস্তিনিরা। কারণ ফিলিস্তিনিরা ভালো করেই জানেন যে, তাদের ভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার মানে কি হবে। এই ভূমির অধিকার রক্ষার জন্য গত ৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিনি নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং তরুণরা জীবন দিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে সবকিছু ছেড়ে তারা অন্যত্র আশ্রয় নেবেন না।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন