দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসে না জানিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলেনে একথা বলা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘চাঁদাবাজি এখনো চলছে। সে জন্য শুধ সুদ বাড়িয়ে পণ্যের দাম কমানো যাচ্ছে না।
এ ছাড়া পণ্য সরবরাহে বেশি হাতবদলের কারণে খরচ বাড়ছে, যা কার্যত ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে।’
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পাচার অর্থ ফেরত আনার কাজ বাংলাদেশই প্রথম করছে না। বিশ্বে আরো অভিজ্ঞতা রয়েছে। সরকার সে পথে আগাতে পারে।
এজন্য বিএফআইইউকে শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে রিজার্ভ চুরির বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। সাবেক গভর্নরসহ যারা জড়িত, তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার রাজস্ব আদায়ের যে কৌশল নিয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কর বাড়াতে হবে।
সেজন্য ভ্যাট নয়, সরাসির করের আওতা বাড়াতে হবে। করের অর্থ ভালোভাবে ব্যয় করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে হবে। কেননা, রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে কমে চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। সেজন্য কর আদায় বাড়াতে হবে।
আবার এডিপির ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদে ব্যয় করা উচিত হয়নি। এর ফলে দেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে।’
জুলাই আন্দোলনের মূল কারণ ছিল কর্মসংস্থানের অভাব। বিগত সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি বেকারত্ব পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করেছিল। সমাজে বৈষম্য বেড়েছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারও দায়িত্ব নিয়ে কর্মসংস্থান বাড়াতে পারেনি বলে সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন