বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে টঙ্গীর তুরাগতীরে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এতে অংশ নিতে ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি। আজ শুক্রবার একসঙ্গে জুমার নামাজ পড়বেন ইজতেমায় অংশ নেওয়া এসব মুসল্লি।
ইজতেমা ঘিরে বাড়তি সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে ইজতেমা সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কিন দূতাবাসের অফিশিয়াল পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে বলা হয়েছে, ইজতেমার প্রধান সমাবেশস্থলটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় দুই মাইল উত্তরে অবস্থিত। প্রায় চার মিলিয়ন অংশগ্রহণকারী ‘বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫’-এর প্রথম পর্বে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বার্ষিক অনুষ্ঠানটি ঢাকাজুড়ে যানবাহন এবং পথচারীদের ট্রাফিকের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হতে পারে।
বিশ্ব ইজতেমার সময় প্রত্যেককে তাদের ভ্রমণপরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত।
সেই সঙ্গে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশকে মাথায় রেখে অতিরিক্ত ভ্রমণ সময় এবং ভ্রমণ বাতিলের সম্ভাবনাও বিবেচনা করা উচিত। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে সর্বদা বিমান টিকিট থাকা উচিত এবং নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ চেকপয়েন্টে দেখানোর জন্য ভ্রমণকারী ব্যক্তির বিমান টিকিট প্রস্তুত থাকা উচিত।
দূতাবাসের পোস্টে আরো বলা হয়, বিশ্ব ইজতেমার সময় দূতাবাসের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ইজতেমা সামনে রেখে মার্কিন দূতাবাসের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো—
০১. ভ্রমণ পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা এবং অতিরিক্ত ট্রানজিট সময় বিবেচনা করা উচিত।
০২. হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠার সময় যথাযথ পরিচয়পত্র এবং বিমানের টিকিট সঙ্গে রাখুন।
০৩. বড় সমাবেশ, বিক্ষোভ বা বিক্ষোভের আশপাশে থাকলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।
পোস্টে আরো বলা হয়েছে, যাত্রীদের সাহায্যের জন্য মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগের নাম্বার দেওয়া হয়েছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন