ইরান সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তরের প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘জাতিগত নিধনের’ শামিল বলে সতর্ক করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ী বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনিদের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সুরক্ষায় সহায়তা করা...জাতিগত নিধনের শামিল যেকোনো ধারণার ওপর চাপ দেওয়ার পরিবর্তে।’
বাকায়ীর এই মন্তব্য ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এসেছে, যেখানে তিনি একাধিকবার গাজা উপত্যকা ‘পরিষ্কার’ করে সেখানকার জনগণকে মিসর ও জর্দানে স্থানান্তরের ধারণা উত্থাপন করেছেন।
বাকায়ী বলেছেন, ‘গাজা পরিষ্কার করা...গাজা উপত্যকা ও পুরো ফিলিস্তিনকে ঔপনিবেশিকভাবে মুছে ফেলার অংশ।
’ পাশাপাশি ‘কোনো তৃতীয় পক্ষ’ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেওয়া ইরান ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই ফিলিস্তিনি অধিকারের সমর্থনকে তাদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। বছরের পর বছর ধরে শত্রু হিসেবে বিবাদে থাকা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গাজা যুদ্ধের সময় প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ইরান হামাসকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিলেও তেহরান বরাবরই বলে আসছে, হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠী স্বাধীনভাবে কাজ করে।
অন্যদিকে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ সম্প্রতি বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পারমাণবিক আলোচনা ‘ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন