শ্রোতা ও অনুরাগীদের কাছে বিশুদ্ধ সংগীতের শিল্পী বলে খ্যাত বাপ্পা মজুমদার। তিন দশকেরও বেশি সময়ের সংগীতজীবন এ শিল্পীর। সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবেও নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রিয় এ সংগীত শিল্পীর জন্মদিন।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বাপ্পার কাছে জানতে চাওয়া হয় এবারের জন্মদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে। তিনি জানান, এবারের জন্মদিনে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। সারাদিন পরিবারের সঙ্গে বাসায়ই কাটাবেন।
বাপ্পা মজুমদারের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয় আপনার বর্ণাঢ্য সংগীতজীবনের কথা নিয়ে আগামী প্রজন্মরে জন্য বই প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে কি না? জবাবে এ শিল্পী বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘বই লেখা একটি বড় ধরনের কাজ। আসলে আমার সেই যোগ্যতা নেই। আর নিজেকে নিয়ে বই লেখার মতো এত বড় মানুষ আমি হতে পারিনি। আমি এখনো আমার কাজটি আরও ভালো করে করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বই লেখার মতো ব্যাপারটি আমার পরিকল্পনার মধ্যে নেই।’
গান নিয়ে বর্তমান ব্যস্ততার কথা জানতে চাইলে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে আমি সুফি ঘরানার গান নিয়ে কাজ করছি। এ ধরনের বেশ কিছু গান করব। সম্প্রতি রুনা ম্যামের (রুনা লায়লা) সঙ্গে এরই একটি গানের কাজ শেষ করেছি।’
‘বাপ্পা মজুমদার’ নামে তিনি শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি পেলেও দেশের জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকারের পারিবারিক নাম শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা। তার বাবা-মা এদেশের সংগীতাঙ্গনের দুই নক্ষত্র- পণ্ডিত বারীণ মজুমদার এবং ইলা মজুমদার। ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে জন্ম নেন বাপ্পা। বাবা পণ্ডিত বারীণ মজুমদার ছিলেন উপমহাদেশের একজন কিংবদিন্ততুল্য সংগীতবিশারদ। এমন পরিবারে যার জন্ম, তার কি আর গানের মানুষ না হওয়ার উপায় আছে! তাই তো বাপ্পা হয়েছেন এদেশের সংগীতাঙ্গনের সেরাদের একজন। সিনেমার গানের জন্য বাপ্পা মজুমদার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এছাড়া পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা।
শৈশবেই সংগীতে হাতেখড়ি সংগীত পরিবারে জন্ম নেওয়া বাপ্পা মজুমদারের। বড় ভাই পার্থ মজুমদারের কাছে খুব ছোটবেলায় গিটার বাজানো শুরু। ১৯৯৫ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘তখন ভোর বেলা’ দিয়ে সংগীত জগতে আত্মপ্রকাশ করেন বাপ্পা। এরপরের বছর বাপ্পা ও সঞ্জীব চৌধুরীর সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন ‘দলছুট’ ব্যান্ড। অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যান্ডটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সঞ্জীবের মৃত্যুর পর বাপ্পা এ ব্যান্ডের হাল ধরেন।
বাপ্পা মজুমদারের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে, ‘পরী’, ‘দিন বাড়ি যায়’, ‘সূর্যস্নান’, ‘বায়েস্কোপ’, ‘রাতের ট্রেন’, ‘বাজি’, ‘লাভ-ক্ষতি’, ‘আমার চোখে জল’, ‘ছিলো গান ছিলো প্রাণ’, ‘কোথাও কেউ নেই’ ইত্যাদি।
বাপ্পা মজুমদারের একক অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে, ‘তখন ভোর বেলা’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘রাতের ট্রেন’, ‘ধুলো পড়া চিঠি’, ‘কদিন পরে ছুটি’, ‘দিন বাড়ি যায়’, ‘বেঁচে থাক সবুজ’, ‘জানিনা কোন মন্তরে’, ‘বেঁধেছি আমার প্রাণ’, ‘বেনানন্দ’ ও ‘বোকা ঘুড়ি’।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন