শেষ মুহূর্তের গোলে লেগানেসকে হারিয়ে সেমিতে রিয়াল

শেষ ওভারে দরকার ১৫ রান। স্বীকৃত ব্যাটার কেউ নেই। ক্রিজে আরাফাত সানি আর আলিস আল ইসলাম। তরুণ মুশফিক হাসানের হাতে বল তুলে দেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম বলে বাউন্ডারি আর দ্বিতীয় বলে দুই নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন আরাফাত সানি।

৪ বলে তখন লাগে ৯ রান। তৃতীয় বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। নেমেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল ইসলাম। শেষ দুই বলে জিততে লাগে ৪। পঞ্চম বলে শরিফুুলকে ফেরান মুশফিক হাসান।

 

মিরপুর শেরে বাংলায় তখন পিনপতন নীরবতা। শেষ বলে কী হবে? আলিস আল ইসলাম রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফিরেন মাঠে। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনিই চিটাগং কিংসের জয়ের নায়ক।

আজ (বুধবার) খুলনা টাইগার্সকে শেষ বলে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে চিটাগং কিংস। ৭ ফেব্রুয়ারি শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল।

 

ফাইনালে উঠতে চিটাগংয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬৪ রানের। খাজা নাফে উড়ন্ত সূচনা করলেও পারভেজ হোসেন ইমন আর গ্রাহাম ক্লার্ক সমান ৪ রান করে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফিরে যান।

তৃতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭০ রান যোগ করেন দুই পাকিস্তানি খাজা নাফে আর হুসাইন তালাত। তখন পর্যন্ত ম্যাচ চিটাগংয়ের পক্ষেই ছিল। ২ উইকেটে রান ছিল ১০৫। এরপরই হুট করে ভেঙে পড়ে চিটাগংয়ের ইনিংস।

২৫ বলে ৪০ করে নাসুম আহমেদের শিকার হন তালাত। নিজের পরের ওভারে শামীম পাটোয়ারীকেও (৭ বলে ৫) তুলে নেন নাসুম।

 

৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করে হাঁটু গেড়ে মুশফিক হাসানকে মারতে গিয়ে বোল্ড হন খাজা নাফে। একই ওভারে মুশফিক ফেরান খালেদ আহমেদকে (০)। ১২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে চিটাগং।

অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনও হাল ধরতে পারেননি। সেখান থেকে শেষদিকে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন আরাফাত সানি আর আলিস আল ইসলাম। সানি ১৩ বলে ১৮ আর আলিস ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

হাসান মাহমুদ আর মুশফিক হাসান নেন তিনটি করে উইকেট।

 

এর আগে খুলনা টাইগার্সের ৪২ রানে ছিল না ৪ উইকেট। রানরেটও ভালো ছিল না। কিন্তু মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আর সিমরন হেটমায়ারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিপদ কাটিয়ে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই গড়ে খুলনা।

মিরপুর শেরে বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে খুলনা টাইগার্স। প্রথম চার ব্যাটারের তিনজনই ফেরেন দশের নিচে। মেহেদী হাসান মিরাজ ২, অ্যালেক্স রস ০ আর আফিফ হোসেন করেন ৮ রান।

দুর্দান্ত ধারাবাহিক নাইম শেখ এবারের বিপিএলে পাঁচশো রান পূর্ণ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২২ বলে ১৯ করে খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে খুলনা।

 

সেখান থেকে হাল ধরেন সিমরন হেটমায়ার আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৫০ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেন তারা। ৩২ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ৪১ করে আউট হন অঙ্কন, দলকে ১১৫ রানে রেখে।

এরপর খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেওয়ার কাজটি করেছেন হেটমায়ার। ৩৩ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান সংগ্রহ করে খুলনা।

 

চিটাগং কিংসের বিনুরা ফার্নান্ডো ২৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন