এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সহায়তা বন্ধে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কিত এই আইনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই নির্বাহী আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবস্থানরত ‘হোয়াইট ফার্মার্স’ নামে জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেখানে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়াই কৃষি জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। গাজা যু্দ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থানের কারণে দেশটির ওপর ট্রাম্প এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৈদেশিক সহায়তা দিয়ে সমর্থন করবে না। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। প্রয়োজন মনে না করা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে আর কোনো সহায়তা না দেওয়ার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন তিনি।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দেশ ভূমি সংস্কার নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নির্বাহী আদেশে আফ্রিকানার্স নামের একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরা মূলত ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের একটি জাতিগত গোষ্ঠী। তারা বৈষম্যের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের শরণার্থী কর্মসূচির মাধ্যমে পুনর্বাসনে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘নির্যাতিত’ শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া ও পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে দেশটিতে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের প্রতিনিধিত্বকারী কয়েকটি সংগঠন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের প্রভাবশালী সংগঠনগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের পুনর্বাসনের ট্রাম্প যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সলিডারিটি নামের একটি সংগঠনের প্রধান নির্বাহী ডার্ক হারম্যান বলেন, আমাদের সদস্যরা এখানে কাজ করেন। তারা এখানেই থাকতে চান এবং এখানেই থাকবেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন