হাকিকুল ইসলাম খোকন, রাষ্ট্রীয় মদদে স্বাধীন বাংলাদেশের সুতিকাগার বাঙালীর শিকড়,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর' ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও দেশব্যাপি আবার ও জঙ্গি হামলা,মব জাস্টিস এর বিরুদ্ধে ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে গত ৯ই ফেব্রুয়ারী,২০২৫,রবিবার সময় সন্ধ্যা ৬টায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েক শত প্রবাসীদের উপস্থিতিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর বাপসনিউজ প্রতিবাদ সভা ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রবাসীরা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেন।
সভা ও সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াট হাউজের উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট একটি প্রতিবাদ স্মারকলিপি ও হস্তান্তর করেন বলে ঘোষণা দেন সভায় নেতৃবৃন্দ।
যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাকসু’র সাবেক জিএস ড.প্রদীপ রঞ্জন কর ।এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রমেশচন্দ্র নাথ,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক উপ প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন,বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবার রিচি,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক সাইদুর রহমান সাঈদ,বংগবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মিয়া ,সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ,বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ভূঁইয়া,কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমি । প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসিব মামুন,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী এনাম দুলাল মিয়া,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মোঃ বখতিয়ার,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এমএ করিম জাহাঙ্গীর,আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন,কানেক্টিকাট ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ চৌধুরী,নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল,শেখ হাসিনা মন্ত্রের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জলিল,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার,নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম আতিক,শেখ হাসিনা মন্ত্রের সহ সভাপতি টি.মোল্ল ,যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমানা আক্তার,এডভোকেট নুর ফাতেমা,এডভোকেট রুবিনা মান্নন,আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত তালুকদার,স্বীকৃতি বডুয়া,নুরুজ্জামান সরদার,মোল্লা মাসুদ,দেলওয়ার হোসেন মোল্লা,শেখ জামাল হোসাইন,খসরুল আলম,শহিদুল ইসলাম,একে চৌধুরী,লস্কর মইজুর রহমান জুয়েল,অধির কুমার সিকদার,রবিন মন্ডল,রফিকুন ইসলাম,শাহ মতিন,নিশাত মৃধা,জিএম শাহজাহান,আবুল কাশেম,শাহীন মোঃশেখ, এমএ রহমান,কামাল শেখ,রাশেদুল আলম,আবদুল হান্নান,আমিনুল ইসলাম চুন্নু,রাসেদুল আলম,ফিদা হোসোইন,নুরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা নাহিদুল সৈকত, হৃদয় মিয়া, স্বপ্নীল খান, ফিদা হোসেন প্রমুখ এবং বিভিন্ন অংগ সংঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন বলেন গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে ঢাকাসহ দেশ জুড়ে একযোগে আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্টদের স্থাপনায় যত হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ছিল জঙ্গিগোষ্টী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সুপরিকল্পিত একটি পরিকল্পনা। এর পেছনে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুলল্লাহ, সারজিস আলম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও ড. ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিদেশ থেকে এদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছে পিনাকী ভট্র, ইলিয়াস হোসেন, কনক সরোয়ার, সহ কয়েকজন । যারা বিদেশে বসে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর পেছনে ড. ইউনুসের সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ বাঁধা দেয়নি। পুলিশি এবং আর্মি দূর থেকে নীরবে দাড়িয়ে দেখেছে জঙ্গিদের উল্লাস ।
হামলা কারীরা যখন ভবন গুড়িয়ে দিচ্ছিল তখন দেখাগেছে হামলাকারীদের কয়েকজন ওই ভবনে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পতাকা টানিয়েছে। দেশব্যাপী ভবন ভাংচোর করতে ব্যবহার করা হয় সরকারী এস্কেভেটর। এতে বিষয়টি পরিস্কার অন্তবর্তি কালীর সরকারের পৃষ্টপোষকতায় হামলাকারীরা দেশব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে। বিষয়টি আরো পরিস্কার পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদে স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭১ এর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
বিক্ষোভ কারীরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন- এই সরকার বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর থেকে দেশব্যাপী মবজাষ্ট্রিজ, একের পর এক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা এবং দেশব্যাপী জঙ্গিদের উত্থান এরই ইঙ্গিত বহন করে। সমাবেশকারীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সমূহ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন আপনারা বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করুন। বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির মাঝে বসবাস করে আসছে। এখানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সম্পৃতির মাথে বসবাস করে অভ্যস্থ। বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান নাঠেকাতে পারলে এর পরিনতি ভোগ করতে হবে- ভারত সহ দক্ষিন এশিযার দেশগুলোকে।
এদিকে বাঙালির স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা, সকল সংগ্রামের সূতিকাগার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ি তথা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর' ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন ।
সভায় বক্তাগন বলেন,এই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা,দালান ভাঙতে পারবে, ইতিহাস মুছতে পারবে না, ৩২ নম্বরে আগুন দিয়ে কুটি কুটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করেছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ধানমন্ডি ৩২ বাংলাদেশের হৃদপিন্ড!"বত্রিশ বাংলার আবেগ; এক একটি ইট এক একটি ইতিহাস||
"রাষ্ট্রীয় মদদে স্বাধীন বাংলাদেশের সুতিকাগার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িটি ধ্বংস করা হচ্ছে।
এর দ্বায় তোমাদের নিতেই হবে।ধানমন্ডি ৩২ এর প্রতিটি ধূলিকণা একদিন কথা বলবে,"ধানমন্ডি ৩২ শুধু একটি ঠিকানা নয়, এটি মুক্তিকামী বাঙালির স্বপ্ন, সংগ্রাম ও প্রেরণার প্রতীক। ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা য়ায় না, ধানমন্ডি-৩২ নাম্বারের বাড়ি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এই বাড়িতে আঘাত করা মানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আঘাত করা। বাড়িটির সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার প্রতিটি দেশ প্রেমিক মানুষের অনুভূতি,আদর্শ ও চেতনা। এই বাড়িতে আঘাত করা মানে প্রতিটি খাঁটি বাঙালির হৃদয়ে আঘাত করা সামিল বলে তিনি অভিমত ব্যাক্ত করে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য বুক ভরা ঘৃনা জানিয়েছেন।
"৩২ ই বাংলাদেশ "বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরই ধানমন্ডি ৩২ হবে উল্লেখ করে বক্তারা আরও
বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সেই সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ পুনর্বার বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন এবং তার সম্মুখে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর চালায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও তার শ্বাপদ শাবকেরা। এটি সুস্পষ্টভাবে একটি ফৌজদারি অপরাধ। কিন্তু এটার জন্য আজকের বিচারহীনতার বাংলাদেশে বিচার প্রাপ্তির জায়গা নেই। আমরা চাই, জনগণের অনুভূতি জাগরণের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও
দেশব্যাপী লাগাতার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।। সভায় বক্তাগন বলেন,বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ৬ মাসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হননি অধ্যাপক ইউনূস। এমনকি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা দিয়েও লুটেরা-দুর্বৃত্ত এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা, বাড়িÑঘড়ে লুটের পর গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। প্রকাশ্য দিবালোকে আগাম ঘোষণা দিয়ে এহেন অপকর্মে লিপ্তদের গ্রেফতার দূরের কথা, বরঞ্চ উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাই মুহম্মদ ইউনূসের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারটি অবিলম্বে কেড়ে নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। এমন আকুতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত হয় নিউইয়র্কের সমাবেশে। রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বাড়িটি আবারো লুটের পর ধ্বংসাবশেষে আগুন ধরিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এহেন অপকর্ম বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ড. প্রদীপ কর উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাইজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের সময় বাইরে আমরা শান্তি সমাবেশ করবো এবং বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করবো। কারণ, বাংলাদেশকে সুপরিকল্পিতভাবে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় লেবাসে ছাত্র নামধারি জঙ্গিদের নেপথ্যে ছিল বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান। ওয়াকারউজ্জামান শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন এবং তারপরই গণমাধ্যমে বলেছেন যে, বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। অথচ ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে শুরু হয় শেখ হাসিনার সমর্থকদের হত্যা, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ভয়ংকর ঘটনাবলি। শতশত পুলিশকে জঙ্গিরা হত্যা করেছে। পুলিশকে থানার ভেতরে রেখে আগুন দিয়ে পুড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। এ ধরনের হিংস্র আচরণে লিপ্তদের দমন করা দূরের কথা নিবৃত করতেও ন্যূনতম ভ’মিকা পালন করেনি সেনাবাহিনী। ড. প্রদীপ কর প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে সেনাবাহিনীর রহস্যজনক নিরবতার নিন্দা করে বলেন, যারা নিজ দেশের মানুষের শান্তি রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন, তারা কীভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন? এ ব্যাপারেও ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীগণের এই সমাবেশ সঞ্চালনাকালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি আমাদেরকে ক’টনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রাখতে হবে। স্মারকলিপি দিতে হবে জাতিসংঘে, কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউজে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, মানবাধিকার কাউন্সিল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচকেও দিতে হবে স্মারকলিপি। এটা সময়ের দাবি।
একমাত্র কন্যার বিয়ে উপলক্ষে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম। তিনি বলেন, অসহনীয় পরিস্থিতিতে নিপতিত গোটা বাংলাদেশ। কারো নিরাপত্তা নেই। অধ্যাপক ইউনূসের জঙ্গিবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে অতীষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে। অপরদিকে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। এহেন অপশাসনের অবসান চাচ্ছেন সকলে। হাজী এনাম উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাও চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। তাই আমাদেরকে সরব থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে কনভিন্স করতে হবে জঙ্গিদের আস্থানায় পরিণত হবার আগেই মুহম্মদ ইউনূসকে অপসারণের জন্যে। বিশেষ করে হোয়াইট হাউজকে জানাতে হবে বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কেউই নিরাপদ নন। টোকাইদের রাজত্ব চলছে। যখোন যাকে খুশী গ্রেফতার-নির্যাতন করা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের।
সমাবেশ থেকে জানানো হয় যে, হোয়াইট হাউজের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্যে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রঙ্কস, ব্রুকলীন থেকে ৪টি বাস যাবে। কানেকটিকাট, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, বস্টন থেকেও প্রবাসীরা যাবেন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে মানববন্ধনের কর্মসূচি। আলোচনা সভার শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৪ এর ৬ দফা, এগারো দফা শিক্ষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, “৭৫এর ১৫ই আগষ্ট, ২০০৪ এরস২১শে আগস্ট, “৭৫এর ৩রা নভেম্বরের নিস্ঠুর হত্যাকান্ড এবং স্বৈরাচার বিরোধী এবং সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগী বীর এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষাধীক মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।শেষে সবাইকে নৈশ ভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন